কী কী কারণে হাড় ক্ষয় হয়?
অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগে অনেকেই ভোগে। নারী-পুরুষ উভয়ের এ রোগ হলেও নারীর একটু বেশি হয়। হাড় ক্ষয়ের কারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডা. কমল কলি হোসেন।
বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ইনল্যান্ড এম্পায়ারে প্রাথমিক চিকিৎসা বিভাগে প্র্যাকটিস করেন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৬৬৫তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয়।
প্রশ্ন : অস্টিওপরোসিস কী?
উত্তর : পরোসিস মানে হলো ছিদ্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া বা হাড় নরম হয়ে যাওয়া। অস্টিও মানে হাড়, পরোসিস মানে ছিদ্র। দেখা যাচ্ছে, এর আগে আমাদের অস্টিওআর্থ্রাইটিস হচ্ছে। আর্থ্রাইটিস হলো বাত রোগ। যেকোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো জয়েন্ট পেইন। আমরা এর চিকিৎসা না করলে, ভালোমতো খাওয়া-দাওয়া না করলে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো না রাখলে আস্তে আস্তে হাড় পাতলা হয়ে যায়। হাড়ের একটি ওজন রয়েছে, ঘনত্ব রয়েছে। এর জন্য আমাদের খাওয়া-দাওয়া ভালো করতে হবে। দেখা যায়, নারী দেহের ইসট্রোজেন হরমোন কমে গেলে, মেনোপজ হয়ে গেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে।
প্রশ্ন : এটি কি নারীর ক্ষেত্রে বেশি হয়?
উত্তর : এটি মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তবে ছেলেদের যে হয় না, তা না। ছেলেদেরও হয়। বলা হয়, দুধ হাড়ের জন্য ভালো। এর মধ্যে অনেক প্রোটিন রয়েছে। দুধ খেতে হবে, প্রোটিন খেতে হবে। এর পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের ব্যায়াম করতে হবে।
প্রশ্ন : অস্টিওপরোসিসের কারণ কী?
উত্তর : অস্টিওপরোসিস কেবল হরমোনের কারণে হচ্ছে না। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণেও হয়। আমাদের খাবার, জীবনযাপনের ধরন থেকেও আসছে। আসল কারণ হলো, হাড় ছিদ্র ছিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এটিই হলো আসল। আমাদের এর প্রতিরোধ করতে হবে। খাওয়া-দাওয়া ভালোভাবে করতে হবে। ভিটামিন ডি নিতে হবে।