খিঁচুনি কেন হয়, প্রতিকার কী
অনেকেই অ্যাকজিমা এবং কেউ কেউ খিঁচুনি রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে চর্মরোগ ও খিঁচুনি নিয়ে কথা বলেছেন যথাক্রমে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাশিদুল হাসান এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের নিউরোলজি বিভাগের নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় খিঁচুনি হয়ে থাকে। দেখা যায় যে কোনও কারণ ছাড়া বা আগে কখনও হয়নি, এই খিঁচুনির আসলে কারণ কী। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজমুল হক বলেন, খিঁচুনি আসলে মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরোন; নিউরোনের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা বা অতিরিক্ত উত্তেজনা কারণে হয়। এই যে নিউরোন অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায়, এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বরের কারণে হতে পারে, অনেক সময় হয় কি, শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, এ কারণেও হতে পারে।
ডা. নাজমুল হক আরও বলেন, মস্তিষ্কের যে কোনও রোগ বা টিউমারে কিন্তু খিঁচুনি হতে পারে। খিঁচুনি সব বয়সেই হতে পারে। যেমন বাচ্চাদের হতে পারে, বৃদ্ধদেরও হতে পারে। খিঁচুনির কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। প্রতিরোধের উপায় আসলে খুবই কম। তবে কারণ যদি নির্দিষ্ট করে আইডেন্টিফাই করা যায়, তাহলে সেই কারণকে যদি আমরা প্রতিহত করতে পারি, তার মাধ্যমে খিঁচুনিকে প্রতিহত করা যায়।
অ্যাকজিমা ও খিঁচুনি কী এবং এসব রোগের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।