খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়
এখন গ্রীষ্মকাল। বেলা গড়াতেই গরমে ঘাম ছোটে সবার। এ সময় কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে গ্রীষ্মকালীন রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে গ্রীষ্মকালে ত্বকের যত্ন নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
গ্রীষ্মকালে খুশকি বেশি দেখতে পাই। খুশকি যাদের হচ্ছে, বারবারই হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করেও খুশকি যাচ্ছে না। কেন বারবার খুশকির সমস্যা হচ্ছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, খুশকিতে জেনেটিক ব্যাপার থাকে। অনেকের বারবার হচ্ছে। কিছুটা হয়তো চলে যায়, আবার হচ্ছে। এটা সহজে যেতে চায় না। এ জন্য অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
খুশকি কী কী কারণে হয়, কেনই বা বাড়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, অনেকেই আছে, বিশেষ করে মেয়েরা, ভেজা চুল বেঁধে রাখে। গোসল করার পর চুল না শুকিয়েই রাখে। অনেকে শ্যাম্পু করতে চায় না। তেল দেয় বেশি, শ্যাম্পু করে কম। আমার মতে, যেমন তেল দিতে হবে, তেমন শ্যাম্পুও করতে হবে। আর ছেলেদের হয়, ওটা জেনেটিক কারণেই হয়। কারও কারও ফাঙ্গাল টেন্ডেন্সি বেশি থাকে। সে জন্য তাকে কিছু ড্রাগও খেতে হবে। তিন সপ্তাহ বা চার সপ্তাহ অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ খেতে হবে। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে বারবার হবে না। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে ভালো হবে না। আজকাল অ্যান্টি-ফাঙ্গাল স্প্রে পাওয়া যায়। এটাও ব্যবহার করেও খুশকি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রোগ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।