খেজুরের যত গুণ
খেজুর খুবই পুষ্টিকর ও শক্তি বৃদ্ধিকারক ফল। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খেজুর।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে খেজুরের পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর। তিনি বলেন, খেজুর অত্যন্ত ক্যালোরিবহুল একটি খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং আঁশ সমৃদ্ধ। ভিটামিনগুলোর মধ্যে রিবোফ্লাবিন, নায়াসিন, থায়ামিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে রয়েছে খেজুরে। মিনারেলের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি।
নুজহাত বলেন, আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি আমাদের দৈনিক ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে, যা আমরা খেজুর থেকে গ্রহণ করতে পারি। তা ছাড়া সারা দিনে একটি খেজুর আমাদের চোখের সুস্থতা দান করে। খেজুর উচ্চমাত্রায় সলিউবল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ন্যাচারাল ল্যাক্সাটিভ হিসেবে কাজ করে, আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর বলেন, খেজুরে প্রচুর মিনারেল যেমন সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক ইত্যাদি থাকায় তা হাড়ের গঠন ও বর্ধনে সহায়তা করে। এবং বিভিন্ন ধরনের হাড়ের অসুখ, যেমন অস্টিওপোরোসিস থেকে রক্ষা করে। নিকোটিন নামক উপাদানটি খেজুরে থাকায় তা আমাদের অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে রক্ষা করে। তা ছাড়া এনিমিয়া দূর করতে খেজুরের জুড়ি নেই।
খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে। একটি উপাদান খেজুরে রয়েছে, যা সচরাচর আমরা খাবারে কম পাই, তা হচ্ছে অরগানিক সালফার। অরগানিক সালফার আমাদের বিভিন্ন ধরনের সিজনাল অ্যালার্জি রিঅ্যাকশন থেকে রক্ষা করে।
ওজন বাড়াতে খেজুরের জুড়ি নেই। একটি খেজুর থেকে আমরা ২৩ কিলোক্যালোরি পেয়ে থাকি এবং ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে আমরা ২৮২ কিলোক্যালোরি পেয়ে থাকি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, অল্প খাবার খেয়ে আমরা যথেষ্ট ক্যালোরি পেতে পারি। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান বা মাসল বিল্ড করতে চান, তাঁদের আমরা খেজুর খেতে পরামর্শ দিতে পারি।
নুজহাত বলেন, খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি, যা অল্প পরিমাণে এবং কম সময়ে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। তা ছাড়া ডায়রিয়া হলে খেজুর একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন খেজুরে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, যা আমাদের ডায়রিয়া-পরবর্তী সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।