গাজর-আদার জুস খেলে কী হয়?
সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ত্বক সবার কাম্য। আর এ জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এমনই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো, গাজর-আদার জুস।
এই দুই সবজির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন। গাজর- আদার জুসের উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এ স্বাস্থ্যকর জুসটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য এটি খুবই চমৎকার একটি পানীয়। গাজরের মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ ইমিউন কোষ বাড়ায়। ভিটামিন শ্বেত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়ক।
আর আদার মধ্যে খুব ভালো পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে। এটি অক্সিজেনকে ভালোভাবে টিস্যুতে পৌঁছে দিতে কাজ করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। আর এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
২. ত্বকের জন্য ভালো
আদা ও গাজরের মধ্যে এমন অনেক পুষ্টি রয়েছে যেগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। ভিটামিন ‘এ’ ও বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে গাজর ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ব্রণ, পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া গাজরের মধ্যে রয়েছে বেটা-ক্যারোটিন। এটিও ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে।
আদা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে, মিনারেল ও ভিটামিনে ভরপুর। এটি ত্বককে মসৃণ ও পরিষ্কার রাখতে কার্যকর।
৩. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
আদা-গাজরের জুসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যানসার, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি প্রোলিফেরেটিভ ও অ্যান্টি ম্যাটাস্টেটিক উপাদান। এগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী। বিশেষ করে করে ওভারি, কোলোরেক্টাল, ফুসফুস, স্তন, ত্বক, প্রোস্টেট, প্যানক্রিয়াসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৪. হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
আদা ও গাজর দুটোই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও পরিষ্কারক উপাদানের জন্য বিখ্যাত। এসব উপাদান হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে। গাজর হদযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। গাজর শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
আদাও কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে কার্যকর।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের জন্য একটি চমৎকার পানীয় হতে পারে এ জুস। আদা রক্তের সুগারের মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন উৎপাদন বাড়ায়। আর গাজরের মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া চোখের রোগ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধে উপকার করে। আর তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন গাজর-আদার জুস।
তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।