জেনে নিন রসুনের ৬ উপকারিতা
রসুনের নিরাময় ক্ষমতা অনেক। রসুনের অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা রয়েছে। রসুনে থাকা কিছু উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। এতে থাকা রাসায়নিকগুলো পুষ্টিতে ভরপুর। রসুনের নির্যাস হাড়ের ঘনত্ব, প্রশান্তিদায়ক প্রদাহ এবং সংক্রমণ, ত্বকের স্বাস্থ্য, ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
রসুনের নির্যাসে নিউরোঅ্যাকটিভ নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদান নিউরাল টিস্যুকে উত্তেজিত করতে পারে। যার ফলে শেখার ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই উপাদান স্মৃতিশক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই রসুন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
- অন্ত্রের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী
রসুন প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের পাচনতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। এতে একটি সুস্থ অন্ত্র বজায় রাখা যায়।
- ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করে
রসুনে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান। এটি সাধারণ সর্দি-কাশি সারিয়ে দেয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রসুনের নির্যাস রোটাভাইরাস, এইচআইভি, হারপিস সিমপ্লেক্স, রাইনোভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি-এর বিরুদ্ধে কার্যকর।
- একটি কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
রসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কার্যকর। এতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ আমাদের কোষকে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। হৃদরোগ, ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস এবং স্ট্রোক সবই অক্সিডেটিভ ক্ষতির সাথে সম্পর্কিত। যা বার্ধক্যকেও বাড়িয়ে দেয়।
- রসুন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
রসুন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলারের সম্ভাবনা হ্রাস করে। উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রসুন খাওয়া উচিত। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে রক্তচাপ কমায়।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়
রসুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ইনসুলিনের উপর প্রভাব ফেলে। যা শরীরের শক্তির জন্য গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
সূত্র- পিঙ্কভিল্লা