টিনএজ মেয়েদের জন্য কোন খাবার স্বাস্থ্যকর?
কৈশোরে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ খুবই জরুরি। এ সময় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে শারীরিক নানা সমস্যা হয়। তাই টিনএজ মেয়েদের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখা দরকার, যা তাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হয়েছে, যা টিনএজ মেয়েদের খাদ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক। আসুন, সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নিই—
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
আয়রনের ঘাটতির কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। সেইসঙ্গে শারীরিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লাল মাংস, পোল্ট্রি, শিম, সবুজ শাকসবজি, যেমন—পালং শাক ও ব্রকলি ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এ সময় খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।
প্রোবায়োটিকস
বয়ঃসন্ধিকালে নানারকম মানসিক অবসাদগ্রস্ততা আসতে পারে। প্রোবায়োটিকস হজমপ্রক্রিয়াকে কার্যক্ষম করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে। প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দই, কম্বুচা চা, মাখন-তোলা দুধ ইত্যাদি।
ফল
টিনএজারদের সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফল, বিশেষ করে টিনএজ মেয়েদের জন্য। ফল শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, স্থূলতার ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করে, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। এ সময় কমলা, তরমুজ, শসা, লেবু ও পেঁপে খাদ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক।
ভিটামিন এ
আয়রনের পর ভিটামিন এ টিনএজ মেয়েদের জন্য খুব জরুরি। এটি প্রজননস্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা, যেমন—ব্রণ ও বলিরেখা থেকে সুরক্ষা দেয়। এ সময় গাজর, কুমড়া, মিষ্টি আলু, ব্রকলি, জাম্বুরা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক।
শস্যদানাজাতীয় খাবার
শস্যদানাজাতীয় খাবার হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস থেকে সুরক্ষা দেয়। টিনএজদের খাদ্যতালিকায় শস্যদানাজাতীয় খাবার রাখা জরুরি। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়; খাদ্যআঁশ হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি করে এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে প্রোটিন। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা ও প্রতিবন্ধিতার হাত থেকে রক্ষা করে ফোলেট। এ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্লি, কুইনোয়া, বজরা, ভুট্টা, ওটস, বাদামি চাল ইত্যাদি। এ সময় এসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক।
খাদ্যতালিকা নিম্নমানের হলে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে টিন এজ মেয়েরা। তাই এ সময় তাঁদের জৈবিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার জরুরি।