ডাল খান, প্রোটিনের চাহিদা মেটান
জীবন সুরক্ষায় শরীরে প্রোটিন জরুরি। কিন্তু আমরা কি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানটি গ্রহণ করি? যদি আমরা শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খাই, তবে প্রোটিন ধীরে দূরে সরে যাবে। বলুন তো, শেষ কবে আপনি ডাল খেয়েছেন? সুস্বাস্থ্যের জন্য ও পেশিকে শক্তিশালী করার জন্য আঁশ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ ডাল আপনার ডায়েটে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিম ও মুরগির মাংসে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। এ কথা কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু ডাল ও শিমজাতীয় খাবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
করোনার কারণে এখন অধিকাংশ স্থানে লকডাউন চলছে। বাইরে বের হওয়াটা অনিরাপদ। তাই প্রতিদিন তাজা শাকসবজি ও মাংস পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ডাল আপনাকে রক্ষা করতে পারে। দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভারতের লিল গুডনেস অ্যান্ড কুলমিলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা পরীক্ষা রাও বলেছেন, ডাল ও শিমজাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, আঁশ এবং আয়রন ও ভিটামিন বি। তিনি আরো জানান, শরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ অ্যামিনো এসিড প্রয়োজন, তা পরিপূর্ণভাবে মেটাতে পারে ডাল। এর জন্য প্রাণিজ প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে না।
সপ্তাহে অন্তত চার দিন ডাল খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান মাই২২বিএমআই-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রীতি ত্যাগি। তিনি জানান, ডাল, শস্যবীজ, মুগ ও শিমের বিচিতে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। রয়েছে শর্করা ও আঁশ। ডাল পুষ্টিগুণে ভরা। এ জন্য সপ্তাহে অন্তত চার দিন ডাল খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদ প্রীতি জানান, শস্যদানা আঁশের অন্যতম প্রধান উৎস। এতে রয়েছে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল। এগুলো যেমন আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়, তেমনি পুষ্টিচাহিদা পূরণ করে। তবে শস্যদানা ও ডাল রান্নার আগে দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা জরুরি।