পাকস্থলীর আলসার : ৪টি খাবার এড়িয়ে চলুন
পাকস্থলীর আলসারের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টাসিড সেবনের প্রয়োজন পড়ে। পাকস্থলীর আলসারকে পেপটিক আলসারও বলা হয়।
সাধারণত হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি জীবাণু দিয়ে পাকস্থলীর আলসার হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াও পাকস্থলীর আলসার তৈরি করতে পারে। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো পাকস্থলীর আলসারের লক্ষণ, যেমন—বুক জ্বালাপোড়া, বমি, গ্যাস, হজমে সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
পাকস্থলীর আলসার হলে এড়িয়ে যেতে হবে এমন খাবারের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমেডি।
১. কফি
পাকস্থলীর আলসার থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কফি পান করা এড়িয়ে চলুন। কেবল কফিই নয়, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ সব ধরনের খাবারই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
আসলে কফি পাকস্থলীর আলসার তৈরি করে না। তবে এটি পাকস্থলীকে ইরিটেট (যন্ত্রণা) করে এবং সমস্যা বাড়ায়। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ও অন্যান্য উপাদান পাকস্থলীর এসিড তৈরি করে। আর এ কারণেই এ ধরনের খাবার এড়াতে বলেন চিকিৎসকরা।
২. ঝাল খাবার
ঝাল খাবার পাকস্থলীর আলসার তৈরি করে না। তবে এ ধরনের খাবার পাকস্থলীর দেয়ালে ইরিটেশন তৈরি করে। এতে আলসার বাড়ে। তাই পাকস্থলীর আলসারের রোগীদের ঝাল ও এসিড জাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে বলা হয়।
৩. লাল মাংস
লাল মাংস মানে গরু, খাসি ইত্যাদির মাংস। পেপটিক আলসারের রোগীদের এ ধরনের খাবার খেতে সম্পূর্ণভাবেই নিষেধ করা হয়।
বেশির ভাগ লাল মাংসই উচ্চ চর্বি ও প্রোটিনের উৎস। এগুলো হজম হতে বেশি সময় লাগে। পাকস্থলীর এটি বেশি সময় থাকলে হজম হতে অনেক বেশি এসিড বের হয়। বেশি এসিড পাকস্থলীর দেয়ালে ইরিটেশন তৈরি করে এবং আলসারের সমস্যাকে বাড়ায়।
৪. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
ননিযুক্ত দুধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার স্বল্পমেয়াদি আরাম দিতে সাহায্য করে। তবে আসলে এটি পেপটিক আলসারকে আরো খারাপ দিকে নিয়ে যায়।
এ ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর চর্বি। এটি সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। ননিযুক্ত দুধের পাশাপাশি পনির, ক্রিম ও বাটার মিল্ককেও এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।