প্রতিদিন খান একটি কাঁচামরিচ
কাঁচামরিচ সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা ব্যবহার করি। কাঁচামরিচে ক্যাপসাইসিন নামক এক ধরনের বিশেষ উপাদান রয়েছে, যেটি মরিচের ঝালের জন্য দায়ী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, সি, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এ উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং লালা বাড়ায়, যে কারণে আমাদের কাঁচামরিচ খেতে মজা লাগে।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে কাঁচামরিচের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ কথাকলি সরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন একটি করে কাঁচামরিচ খেলে এটি আমাদের রক্ত জমাট বাঁধার হাত থেকে রক্ষা করে। নার্ভাস সিস্টেমকে ভালো রাখতে কাঁচা মরিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু কাঁচামরিচ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচামরিচ রাখতে পারেন। কাঁচামরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। চর্বিজাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচামরিচ খেলে চর্বিকে ধ্বংস করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, যে কারণে মোটা হওয়ার ভয় থাকে না। তাই যাঁদের ওজন বেশি এবং যাঁরা একটু বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত বা রিচ ফুড খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচামরিচ খেতে পারেন, যা চর্বিটাকে শরীরে জমে যেতে দেবে না।
কথাকলি সরকার বলেন, কাঁচামরিচের একটি বড় গুণ হচ্ছে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, যেটা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি জ্বর, সর্দি, কাশি ও বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করে। কাঁচামরিচে থাকা ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি সচল রাখে, দাঁত ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এর ভিটামিন সি আমাদের ত্বক, মাড়ি ও চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচামরিচ কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো। কেননা ৩৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যদি কাঁচামরিচকে সেদ্ধ করা হয় বা রান্না করা হলে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়, অন্যান্য গুণাবলীও নষ্ট হয়ে যায়।
এ পুষ্টিবিদ আরো বলেন, গরমকালে কাঁচামরিচ খেলে এটি কিন্তু ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিক উপাদান বের করে দিয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে আমাদের একটি করে কাঁচামরিচ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।