মাছ কেন খাবেন, কতটা খাবেন
স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গ এলে মাছের কথা বলতে হয়। মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাছের ভূমিকা অনেক। অনেকে আছেন, মাছ খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু পুষ্টিগুণের কথা ভেবে তাঁদের অবশ্যই মাছ খেতে হবে।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, মাছ থেকে আমরা প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং আয়রন পেয়ে থাকি। মাছের ক্যালোরি ভ্যালু কম থাকার কারণে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা উচিত। মাছের তেল থেকে প্রচুর, গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা থ্রি ফ্যাট পেয়ে থাকি, যেটা আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য বেশি উপকারী। আর এ জন্য মাছকে ব্রেইন ফুড বলা হয়ে থাকে। মাছে যে অতিরিক্ত ওমেগা থ্রি ফ্যাট থাকে, সেটি অ্যালঝাইমার ডিজিজকে প্রতিরোধ করে থাকে। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে স্মৃতি লোপ পায়, সেটি প্রতিরোধ করে ওমেগা থ্রি ফ্যাট।
নুসরাত জাহান বলেন, মাছের তেল আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা তাঁদের অনাগত সন্তানের ব্রেইন ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখতে পারেন। মাছ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে ও অন্ধত্ব দূর করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত মাছ ভিটামিন ডি-র চমৎকার উৎস। মাছের তেল বাচ্চাদের এবং বড়দের টাইপ-১ ডায়াবেটিস দূর করে থাকে। এ ছাড়া যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে এবং যাঁদের চোখে ছানি পড়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য মাছ খুবই উপকারী একটি খাবার।
নুসরাত জাহান আরো বলেন, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য আমি বলব, বেশির ভাগ সময় দেখা যায় তাঁদের লো ফ্যাট ডায়েট মেইনটেইন করার কারণে চুল এবং ত্বক অনেক নির্জীব হয়ে পড়ে। তাই তাঁদের লো ফ্যাট ডায়েট মেইনটেইন করার পাশাপাশি পরামর্শ দেব, তাঁরা যেন খাদ্যতালিকায় মাছ ও মাছের তেল অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ খাওয়া এবং বড় মাছের পাশাপাশি ছোট মাছ খাওয়া উচিত।