শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে যা খাবেন
এই শীতে শুধু শরীরই নয়, আমাদের আচরণেও পরিবর্তন আসে। আলস্য ভর করে। ঘুমঘুম ভাব আসে। শীতে শরীর চাঙা ও উষ্ণ রাখতে আমরা এমন কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, যা সত্যিই স্বস্তি দেবে।
ভারতের জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
আপেল
আপেল দারুণ উষ্ণ খাবার। এতে কোরেসেটিনের মতো পলিফেনলস উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপেল ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে রয়েছে আঁশ। ডায়াবেটিসেও উপকারী আপেল। এটি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। আপেল মধ্য-সকালে খেতে পারেন।
পেঁয়াজ
সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় পেঁয়াজ। শীতে এটি শুধু শরীরকে উষ্ণই রাখে না, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তেও সহায়ক পেঁয়াজ। এক কাপ গরম পেঁয়াজের রস খেতে পারেন, যা শরীরকে উষ্ণ রাখবে।
রসুন
রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান এবং এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি গ্যাস কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন কাঁচা খেতে পারেন। এ ছাড়া রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
আদা
আদায় রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান, যা শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। এটা মেটাবলিজম বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। রান্নায়ও আদা ব্যবহার করতে পারেন।
বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে রয়েছে ফসফরাসের চমৎকার উৎস। কাজুবাদাম, আখরোট, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ও তিল খেতে পারেন। সন্ধ্যা ও রাতের স্ন্যাকস হিসেবেও এগুলো খেতে পারেন। বীজজাতীয় খাবার ও বাদাম উষ্ণ স্যুপ করেও খেতে পারেন।
বজরা
এটি দারুণ উষ্ণ খাবার। এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। ওজন কমাতে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বজরা কার্যকর। অনেকে বজরা রুটি হিসেবে খান।
হলুদ
ক্ষত সারাতে ও লিভারের জন্য উপকারী হলুদ। হলুদ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এবং হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে। বাতরোগেও এটি দারুণ কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় উপকারী। হলুদ আয়ুর্বেদিক চা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। তরকারি, ডাল, শাকসবজি ও স্যুপেও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে।
মাছ ও মুরগি
মাছ ও মুরগির মাংস শরীরকে উষ্ণ রাখে। এতে রয়েছে প্রোটিন। তাই খাবারের তালিকায় মাছ ও মাংস রাখুন।