স্ট্রোক হওয়ার পেছনে কী কী কারণ দায়ী
নিউরোমেডিসিন বিভাগে সবচেয়ে কমন যে সমস্যা নিয়ে রোগীরা যায়, সেটি হচ্ছে স্ট্রোক। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে স্ট্রোক কী, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন সুস্থতার ব্যবস্থাপত্র-এর একটি পর্বে এ নিয়ে কথা বলেছেন আসগর আলী হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. নির্মলেন্দু বিকাশ ভৌমিক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
স্ট্রোক কী, এটি শরীরের কোন অংশে হয়। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নির্মলেন্দু বিকাশ ভৌমিক বলেন, প্রথমে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত যে স্ট্রোক ব্রেইনের একটি রোগ। আপনি এটাকে ব্রেইন অ্যাটাক বলতে পারেন। মস্তিষ্কের রক্তনালী থেকে রোগটা শুরু হয়। হয় রক্তনালী ব্লক হয়, নতুবা রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। যদি স্ট্রোক হয়, হঠাৎ করে হবে। হঠাৎ করে কথা যদি জড়িয়ে যায়, মুখ বাঁকা হয়ে যায়, একপাশ যদি হাত-পা অবশ হয়ে যায়, তখন আমরা ধরে নিতে পারি, এটা স্ট্রোক। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত না যে এটা সম্পূর্ণ ভাবে ব্রেইনের একটি রোগ।
অনেকেই বলে থাকেন, আগে তো এত স্ট্রোক দেখা যেত না। বর্তমানে ঘরে ঘরে স্ট্রোকের রোগী দেখা যায়। স্ট্রোক হওয়ার পেছনে কী কী কারণ দায়ী। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নির্মলেন্দু বিকাশ ভৌমিক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় স্ট্রোকের রোগী বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী ধূমপান, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বেশি থাকা; জেনেটিক কিছু কারণ থাকতে পারে, লাইফস্টাইলের কারণ থাকতে পারে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কিছু কারণ থাকতে পারে। এসব কারণে আমাদের এই অঞ্চলে স্ট্রোকের হার খুব বেশি।
ডা. নির্মলেন্দু বিকাশ ভৌমিক আরও বলেন, হাইপারটেনশন মানে অতিরিক্ত রক্তচাপ। এটার সাথে টেনশনের সম্পর্ক নেই। এটার মানে অতিরিক্ত রক্তচাপ। বয়সের সাথে রক্তচাপকে মানানসইভাবে কমিয়ে আনতে হবে। এটা অন্যতম একটা স্ট্রোকের রিচ ফ্যাক্টর। মানে যার রক্তচাপ বেশি থাকে, তার স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। যদি ওষুধ লাগে তবে খেয়ে ব্লাড প্রেশার কমিয়ে রাখতে হবে। যদি বয়স ৪৫ বা ৫০ হয়, তাহলে প্রেশার ১৪০ বাই ৯০-এর নিচে আনতে হবে। তার চেয়ে যদি বেশি ১৫০ বাই ৯০-এ আনতে হবে। ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। যদি দেখা যায় প্রেশার বেশিই থাকছে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকিকে অনেকাংশে কমাতে পারবেন।
স্ট্রোক কী, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।