হাইপারটেনশন : কী খাবেন, কী খাবেন না
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ একটি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ। শরীরে রক্তের চাপ বেড়ে গেলে হাইপারটেনশন বলা হয়। সাধারণত লাইফস্টাইল ও জেনেটিক কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খাদ্যতালিকা জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খাদ্যতালিকা দিয়েছেন রাজধানীর পল্লবীর ল্যাবএইডের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম বলেন, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং অন্যান্য তেলজাতীয় খাবার গ্রহণের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের প্রথম ট্রিটমেন্ট হলো জীবন যাপনে পরিবর্তন করা। এর মধ্যে খাবারের পরিবর্তন, শারীরিক পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত ওজন কমানো অন্যতম। খাবারে পরিবর্তন মানে, আপনাকে প্রথমেই সোডিয়াম ইনটেক কমিয়ে আনতে হবে। শুধু তরকারিতে খাবার লবণ ব্যবহার নয়, আপনাকে প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার থেকেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সামিয়া তাসনিম বলেন, হাইপারটেনসিভ পেশেন্টকে খেয়াল রাখতে হবে যেন তাঁরা প্রতিদিন শাকসবজি এবং ফলমূল অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে পারেন। সাধারণত শাকসবজি এবং ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। এসব ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে পটাসিয়াম অন্যতম, যা হাইপারটেনসিভ পেশেন্টকে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি। এ ছাড়া রয়েছে আলু, টমেটো, কলা ইত্যাদি। ওমেগা থ্রি খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাছের তেল এবং সামুদ্রিক মাছ। রোগীকে অবশ্যই সাপ্তাহিক দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে খেয়াল রাখতে হবে যেন তাঁরা স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ না করে।
এ পুষ্টিবিদের পরামর্শ, অতিরিক্ত চা, কফি পান ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। লো ফ্যাট বা ফ্যাট ফ্রি ডেইরি ফুড, ইয়োগার্ট হাইপারটেনসিভ পেশেন্টরা প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে রাখতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যাঁরা কিডনি পেশেন্ট বা হাইপারটেনশনে মেডিকেশন নিচ্ছেন, তাঁদের পটাসিয়াম গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং অবশ্যই পটাসিয়াম গ্রহণে পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।