হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণগুলো জেনে নিন
যখন হৃৎপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ—এসব মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ।
তবে কখনো কখনো বুকে কোনো ধরনের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না, তা খুব ভালো করে বোঝা যায় না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণ সম্পর্কে। আসুন, জেনে নিই লক্ষণগুলো—
* হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই দুর্বলতা ও ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়। কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা ও খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
* হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ, এটাও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয়, তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃৎপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
* একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তেরই বদহজমের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া বুক জ্বালা, যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তা-ও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি আচমকা কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব ও বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।
* অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারী ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এ সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
* শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের ওপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এ বিষয়গুলোকে অবহেলা করবেন না।