হৃদরোগে ভুগছেন? এসব খাবার এড়িয়ে চলুন
অফিসের মিটিং, সময়মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া, বাড়িতে কাজের চাপ, সন্তান সামলানো—এসবের ভেতর অবহেলিত হয়ে পড়ে আমাদের স্বাস্থ্য। এই চাপযুক্ত জীবনযাপনের প্রভাব পড়ে দেহে।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অভ্যাস হৃদরোগ তৈরি করে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলোও বাড়ায়।
হৃৎপিণ্ড কী চায়?
মানবদেহের গঠন বেশ জটিল। একটি স্বাস্থ্যবান হৃৎপিণ্ড সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। আমাদের খাবার ও জীবনযাপনের ধরনের ওপর হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস দেহের এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ভালো রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
তবে একটি ভালো হৃদযন্ত্র পাওয়ার জন্য কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। কিছু খাবার এড়িয়েও যেতে হবে। পাশাপাশি কিছু ব্যায়ামও করতে হবে। এখানে কিছু খাবারে তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো এড়িয়ে যাওয়া সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য জরুরি—
- মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার
মিষ্টিজাতীয় খাবার অনেকেরই পছন্দ। তবে জিভের স্বাদের দিকে খেয়াল করবেন, নাকি সুস্বাস্থ্যের দিকে? নিশ্চয়ই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইবেন। অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল সমস্যাও সৃষ্টি করে।
- সাদা ভাত, রুটি ও পাস্তা
এসব খাবার বেশি খাওয়া স্থূলতা বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলে। পরিশোধিত ভূসি বা ভূসিসমেত খাবার কার্বোহাইড্রেটে পরিবর্তিত হয়। এতে শরীরে চর্বি জমে। অতিরিক্ত সাদা ভাত, রুটি ও পাস্তা খেলে পেটের মেদ বাড়ে। এর পরিবর্তে বাদামি ভাত, ওটস, বাদামি আটার রুটি খেতে পারেন।
- সোডা
পিপাসা মেটাতে এক গ্লাস সোডা হয়তো বেশ তৃপ্তি দেয়। তবে সোডার মধ্যে থাকা কৃত্রিম চিনি স্থূলতা বাড়ায়। হঠাৎ করে রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিন্তু টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে।
- লবণ
বেশি লবণ খাওয়া রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। লবণের মধ্যে থাকা সোডিয়াম প্রদাহ বাড়ায়। এটি ধমনি ও রক্তনালিতে সমস্যা করে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে অতিরিক্ত লবণ ও লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- লাল মাংস
গরু, খাসি ইত্যাদির মাংসকে লাল মাংস বলা হয়। তবে আপনার হৃদরোগ থাকলে এ ধরনের মাংস একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। এ ধরনের মাংসে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
- মদ্যপান
দেহে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেশি হলে মদ্যপান বাদ দিন। কারণ, এতে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি লিভারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া