ভ্যাজাইনার শুষ্কতা রোধে করণীয়
অনেক সময়ই মেয়েদের ভ্যাজাইনায় শুষ্কতা দেখা যায়। বিশেষ করে মেনোপজের পর এই সমস্যায় নারীরা বেশি ভোগেন। এর ফলে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব এ ধরনের সমস্যা হয়। ভ্যাজাইনার শুষ্কতা আপনার প্রাত্যহিক এবং যৌন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে এই শুষ্কতা দূর করা সম্ভব। টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
ভ্যাজাইনাল ইসট্রোজেন থেরাপি
ইসট্রোজেন এক ধরনের হরমোন। একধরনের ইসট্রোজেন জাতীয় ক্রিম রয়েছে, যা সপ্তাহে দুই অথবা তিনদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসট্রোজেন রিং পরা যেতে পারে, যা তিন মাস পরপর বদলাতে হবে। আপনি যদি চান তবে ইসট্রোজেন ট্যাবেলেটও খেতে পারেন। তবে কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চাপ কমান
মানসিক চাপ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় ভ্যাজাইনায় শুষ্কতা তৈরি হয়। তাই ভ্যাজাইনার শুষ্কতা কমাতে চাপ কমান। চাপ কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
অপুষ্টি শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধি তৈরির জন্য দায়ী। ভ্যাজাইনার শুষ্কতা তৈরিতে অপুষ্টিও একটি কারণ। তাই পুষ্টিকর খাবার খান।
খাদ্যাভ্যাস
পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও একটি বড় বিষয় এই সমস্যার ক্ষেত্রে। ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট মেনে চলুন। ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার খাদ্যতালিকায় সয়া রয়েছে এমন খাবার এবং ফ্ল্যাক্সিড রাখুন।
ব্যক্তিগত যত্ন
সাবান, হ্যান্ড লোশন এগুলোও অনেক সময় ভ্যাজাইনায় শুষ্কতা তৈরি করে। এ থেকে রক্ষা পেতে কেমিক্যাল নেই এমন পিএইচ সাবান ব্যবহার করুন।
নিয়মিত সঙ্গম করুন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভ্যাজাইনার শুষ্কতারোধে নিয়মিত যৌনসঙ্গম করা জরুরি। এটি কোষের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। তাই এ বিষয়টি এড়িয়ে না যাওয়াই ভালো।