কিডনি ভালো থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
কিডনির সুস্বাস্থ্য হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউর বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। নতুন এক গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষকরা বলেন, গবেষণাটি চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
খাবার, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে রোগীদের জীবন-যাপনের ধরন পরিবর্তনের জন্য পরামর্শ দিতে পারবে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রতিরোধের জন্যও ব্যবস্থা নিতে পারবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর সহকারী বিজ্ঞানী এবং গবেষণাদলটির প্রধান লেখক কুনিহিরো মাতসুহিতা জানান, ‘কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি পরিমাপের জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং উচ্চরক্তচাপ পরীক্ষা একটি ভালো নির্দেশক। কিন্তু এটি নির্ভুল নয়। তবে কিডনির কার্যক্রম পরীক্ষা একটি ভালো নির্দেশক হতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না সেটি জানান জন্য।’
মাতসুহিতা আরো জানান, ‘যদি আমরা কিডনির ক্ষতি এবং কিডনির কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না, তা নির্দেশ করতে পারবে।’
কিডনির কার্যক্রমের প্রচলিত পরীক্ষা হচ্ছে রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। পেশির ফেলে দেওয়া অংশ হলো ক্রিয়েটিনিন। কিডনি কীভাবে ফিল্টারিং করছে সেটি এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। একে বলা হয় গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা জিএফআর।
আরেকটি পরীক্ষা হলো অ্যালবুমিনুরিয়া। কিডনি থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে কতটুকু প্রোটিন অ্যালবুমিন বের হয়ে যাচ্ছে এ পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা যায়।
গবেষকরা ২৪টি আলাদা গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। এসব গবেষণায় অংশ নেয় ছয় লাখ ৩৭ হাজার রোগী। তাদের জিএফআর এবং অ্যালবুমিনুরিয়া পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, কার্ডিওভাসকুলার রোগের ক্ষেত্রে জিএফআরের মাত্রা এবং অ্যালবুমিনুরিয়া উন্নতির নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ক্ষেত্রে। এর মধ্যে অ্যালবুমিনুরিয়া শক্তিশালী নির্দেশক ছিল।
তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চরক্তচাপ এবং ধূমপানও হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণ। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে লেনসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ড্রোক্রিনোলোজি জার্নালে।