আমরা দাঁত মাজি বিষ্ঠা দিয়ে!
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই চোখ ডলতে ডলতে টয়লেটে যাই আমরা। তারপর টুথব্রাশে খানিকটা পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজা শুরু করি। তবে শুনলে ভিরমি খাবেন, আপনার টুথব্রাশে শুধু টুথপেস্টই নয়, বিষ্ঠা লেগে থাকার সম্ভাবনা প্রচুর। গা যতই গুলিয়ে উঠুক, এটাই সত্যি যে বাথরুমে টুথব্রাশ রাখার কারণে প্রতিনিয়তই এই বিচ্ছিরি কাণ্ডটি ঘটে আমাদের অজান্তে। ডেইলিমেইলের রিপোর্টে এ নিয়ে জানা গেছে বিস্তারিত।
আপনি টুথব্রাশ যতই ধুয়েমুছে সাফ করেন না কেন, লাভ নেই। বিষ্ঠা লেগে থাকবেই। বাথরুমটি যদি আপনার ব্যক্তিগত হয় তবে এর সম্ভাবনা প্রায় ৫৫ শতাংশ, আর যদি কারও সাথে ভাগাভাগি করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা বেড়ে হয় ৮০ শতাংশ, আর হ্যাঁ; সে ক্ষেত্রে বিষ্ঠাটাও তাদেরই হবে! কানেক্টিকাটের কুইনিপ্যাক ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পাওয়া গেছে এই তথ্য। সব টুথব্রাশ পরীক্ষা করে তারা খুঁজে পেয়েছে ‘ফেকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া’র অস্তিত্ব, যা সরাসরি মানব বিষ্ঠার একটি উপাদান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া টুথব্রাশে যায় কীভাবে? বাথরুমে কমোড যখন ফ্ল্যাশ করা হয়, তখন এই ব্যাকটেরিয়া উড়ে গিয়ে টুথব্রাশে গিয়ে জমে। টুথব্রাশের উপরে আলাদা টুপি লাগালেও এই বিষয়টি তেমন একটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না।
এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটা বাড়তে পারে, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই এই গবেষণায়। এই সমস্যার সমাধানও নিয়েও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি গবেষণায়। কারণ এই ব্যাকটেরিয়া কমোড ফ্ল্যাশ করলেই বাতাসে উড়াল দেয়। কাজেই বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে তাতে গিয়ে এটি বসবেই এবং জমবেই।
এ থেকে মোটামুটি বাঁচার উপায় একটাই। বাথরুমে টুথব্রাশ রাখবেন না। পারলে দাঁত মাজার কাজটি বাথরুমের বাইরে সারুন। সেইসাথে, কমোড ফ্ল্যাশ করার সাথে সাথে এর ঢাকনা নামিয়ে দিন।