ঘুমের ওষুধে মৃত্যু ঝুঁকি?
সারা দিনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি কাটানোর জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তবে অনেক চেষ্টার পরও কারো ক্ষেত্রে ঘুম ঠিক মতো হতে চায় না। এর ফলে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েন অনেকেই। তবে বেশির ভাগ সময় আমরা ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে জানি না। আসুন জেনে নেই কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে ঘুমের ওষুধে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা।
ওষুধে উচ্চ সহনশীলতা
যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ সেবন করেন তবে এক সময় ওষুধে উচ্চ সহনশীলতা তৈরি হয়।ওষুধ খাওয়াটা এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয় এবং কারো কারো ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরও কাজ হয় না।
আপনি এক সপ্তাহ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। ওষুধ গ্রহণের বিকল্প হিসেবে ঘুম সমস্যা সমাধানে শোবার ঘরের পরিবেশ পরিবর্তন করা, ঘুমের আগে বই পড়া ইত্যাদি পদ্ধতি গ্রহণ করুন।
ঝিমুনিভাব
ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে ঘুম থেকে জেগে উঠার পড়ও এক ধরনের ঝিমুনিভাব কাজ করে; যা সারাদিনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি কখনো কখনো এটি বিপজ্জনকও হয়ে উঠে। যদি এই অবস্থায় আপনি গাড়ি চালান বা কঠিন কোনো কাজ করেন তবে দুর্ঘটনার মতো বিপদ ঘটতে পারে।
উল্টাপাল্টা আচরণ
উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলা বা স্থূল কথা বলা ঘুমের ওষুধের আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অনেকেই ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর এ ধরনের আচরণ করে থাকেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ সেবনের কারণে অনেকেরই এমনেসিয়া বা স্মৃতিলোপের সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য মেডিটেশন করা জরুরি।
পড়ে যাওয়া
হঠাৎ পড়ে যাওয়া ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আরেকটি সমস্যা। ঘুমের ওষুধ বেশি সেবন করলে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে দেখা যায়।
কোমা অথবা মৃত্যু
দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেলে অবসাদগ্রস্ত বা বিষাদগ্রস্ত শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। অবস্থা জটিল হলে এর ফলে মৃত্যু বা কোমায় চলে যাওয়ার মতো কঠিন অবস্থাও তৈরি হতে পারে। যারা অ্যাজমার রোগী তাদের এই ওষুধ সবসময় এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
ক্যানসার
গবেষণায় বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাওয়া ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ঘুমের ওষুধ আসলে স্বল্প সময়ের সমাধান। তাই ঘুমের সমস্যার সমাধান করুন, মেডিটেশন করুন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।