অ্যান্টাসিড সেবনে সাবধান!
পাকস্থলীর এসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া এগুলো থেকে রক্ষা পেতে সাধারণত অ্যান্টাসিড সেবন করা হয়। জীবনযাপনের ধরন, মানসিক এবং শারীরিক চাপ এসিডিটি হওয়ার কারণ। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত অ্যান্টাসিড সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স জার্নালে।
গবেষণাটি করা হয় ২৯ লাখ রোগীর ওপর। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, নিয়মিত অ্যান্টাসিড সেবন ১৬ থেকে ২১ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিগাম এইচ শাহ বলেন, যেসব লোক দীর্ঘদিন ধরে পাকস্থলীর এসিডিটির জন্য ওষুধ সেবন করেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পেটে অম্লভাব দূর করতে প্রোটন পাম্প ইনহিভিটরস (PPI) জাতীয় নেক্সিয়াম, প্রিলোসেক, প্রিভেসিড ইত্যাদি ধরনের ওষুধ সেবন করা হয়। গ্যাসট্রো অ্যাসোফাজেল রিফ্লাক্স রোগেও চিকিৎসকরা এসব ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।
নিগাম এইচ শাহ বলেন, গবেষণার ডেটাগুলোতে দেখা যায়, যাঁরা কম সময়ের জন্য এই ওষুধ সেবন করেন এবং যাঁদের আগে হৃদরোগের কোনো ইতিহাস নেই, তাঁদেরও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হাউসটন মেথোডিস্ট হাসপাতালের একদল গবেষক দেখেছেন, এই সমস্যা এইচটু (H2) ব্লকারস জাতীয় ওষুধ সেবনেও হয়ে থাকে। এগুলো আরেক ধরনের অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ। এইচটু ব্লকারের উদাহরণ হচ্ছে, সিমেটিডিন এবং রেনিটিডিন, জেনটেক ও টেগামেট।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক জন কুক বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণায় দেখা গেছে, পিপিআই এনডোথিলিয়ামকে প্রভাবিত করে; রক্তনালিতে টেফলের মতো আস্তরণ তৈরি করে। এর ফলে যাঁরা প্রোটন পাম্প ইনহিভিটরস (PPI) জাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাঁরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন।
গবেষণায় বলা হয়, প্রতিবছর ১১৩ মিলিয়ন চিকিৎসাপত্রে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এই ধরনের ওষুধগুলো সারা বিশ্বেই চিকিৎসাপত্রে দেওয়া হয়। তবে এগুলো অতটা নিরাপদ নয়। তাই এসব ওষুধ সেবনে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।