অটিজম কেন হয়, চিকিৎসা কী?
অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অটিজমের বড় কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ, জিন অথবা ক্রোমোজোমগত অস্বাভাবিকতা।
এ ছাড়া মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক গঠন, বংশগত সমস্যা ও গর্ভকালীন কোনো জটিলতা, ভাইরাল ইনফেকশন, বেশি বয়সে বাচ্চা নেওয়া অটিজমের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।
এর বাইরে পরিবেশদূষণ, রাসায়নিক মেশানো খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদিও অটিজমের আশঙ্কা বাড়ায়। যেসব রাসায়নিক দ্রব্য অটিজমের জন্য দায়ী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মার্কারি, লেড ইত্যাদি।
চিকিৎসা
প্রাথমিক অবস্থায় অটিজম নির্ণয় করতে পারলে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অটিজমের ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়াগুলো অনেক সফলভাবে মোকাবিলা করা যায়। অটিস্টিক শিশুর প্রধান চিকিৎসা নিওরোবিহেভিওরাল থেরাপি (Neurobehavioral Therapy)। শিশুর সঙ্গে এমন আচরণ করা, যাতে ব্রেনের উন্নতি হয় এবং শিশুর অটিস্টিক উপসর্গগুলো লোপ পায়। অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ আছে। তবে অটিস্টিক চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই অটিস্টিকের চিকিৎসা হলো ‘বিহেভিওরাল থেরাপি’।
অটিস্টিক শিশুদের প্রতিবন্ধী বলা যাবে না। শুধু তার বিকাশটা অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত হয় না। অটিস্টিক শিশুরা কখনো কখনো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী হয়। অটিজম আছে এমন শিশুর জন্য সার্বিক পরিচর্যা প্রয়োজন। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, শিশু মনোবিশ্লেষক, সমাজকর্মী, স্পিচ ও অকুপেশনাল থেরাপিস্ট—সবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।