চুল পড়া প্রতিরোধে কী করবেন
চুল পড়লে কার ভালো লাগে? মাথাভর্তি চুল দেখতেই সাধারণত আমরা পছন্দ করি। তাই চুল পড়া প্রতিরোধে চাই সচেতনতা। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭২২তম পর্বে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌন বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব।
প্রশ্ন : চুল পড়া প্রতিরোধে খাবারদাবার, জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন, শ্যাম্পু করা—সব মিলিয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট চুলের জন্য যথেষ্ট। কতগুলো কারণে চুল পড়ে। কোনো স্থূল মানুষ যদি ক্র্যাশ ডায়েট করে—সাত দিন খেল না, দুদিন খেল না, পাঁচ দিন খেল না এতে চুল পড়ে যায়। এটা না করলেই ভালো।
শ্যাম্পু করার কথা একদিন পরপর, তবে দুবেলা গোসলেই হয়তো শ্যাম্পু ব্যবহার করছে, এতে চুল পড়ে। তাই শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার না করা ভালো।
এ ছাড়া জিংক, ক্যালসিয়াম, বায়োটিন, আয়রন, ফেরিটিন—এগুলো শরীরে কম থাকাও চুল পড়ার কারণ। গর্ভাবস্থায় নারীদের চুল পড়ে। চুল পড়ার জন্য খুশকিকেও একটি কারণ হিসেবে বলা হয়। কেবল খুশকি নয়, অনেক ধরনের মাথার ত্বকের রোগের কারণেও চুল পড়ে। যারা কলপ লাগায়, তাদের চুল পড়তে পারে। মাথায় যদি কোনো ইনফেকশন হয়, কোনো ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়, সেখান থেকে কিন্তু চুল পড়ে যেতে পারে। তাই এসব বিষয় খেয়াল করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রশ্ন : সে ক্ষেত্রে যাদের মাথায় খুশকি আছে, তাদের ক্ষেত্রে কি শ্যাম্পুর বিষয়ে কোনো পরামর্শ আছে ?
উত্তর : অবশ্যই। সে ক্ষেত্রে আমরা শ্যাম্পু ব্যবহার করি। টার শ্যাম্পু, কেটোকোনাজল শ্যাম্পু, পাইরেথিন শ্যাম্পু, কম্বিনেশন অনেক শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যায়।
সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের সঙ্গে নিচের চুলে ফলিকুলাইটিস হয়। ছোট ছোট দানা হয়। এটা যেতে চায় না। তখন আমরা অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে নিয়ে তার পর আমরা শ্যাম্পু দিতে যাই।