নতুনভাবে চুল গজানোর ব্যবস্থা আছে কি?
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়ার সমস্যা হয়। এই সমস্যা প্রতিকারের কী করা যায় এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭২৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুল পড়া তো কমিয়ে দিচ্ছেন। তবে নতুন চুল যাতে গজায় তার কোনো ব্যবস্থা থাকে কি?
উত্তর : আমরা যে পদ্ধতিগুলো করছি, তার সঙ্গে এর কিছু সম্ভাবনা আছে। তবে শুরুতেই আসতে হবে। মানে আমি শুরুতেই যখন চুল পড়ছে বুঝব তখনই চিকিৎসা নিতে হবে। এটি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসে, তখন স্থায়ী একটি সমস্যা তৈরি করে ফেলে। তখন ঠিক করা কঠিন। আর অ্যান্ডোজেনিক অ্যালোপেসিয়ার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো পিআরপি। প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি।
প্রশ্ন: এতে কী করেন।
উত্তর : এখানে আমাদের নিজেদের শরীরের রক্ত নিয়ে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা বের করে স্কাল্পে প্রয়োগ করি। এটি খুব চ্যালেঞ্জিং।
প্রশ্ন : কেমন সাড়া পাচ্ছেন এতে?
উত্তর : দু-তিনটি সেশনের পর রোগী এসে বলে তার চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। খুশকি কমছে। এরপর চুল পুনরায় গজানোর জন্য আরো কিছু সেশনের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন : এটি কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : আসলে বয়স একটি বড় বিষয়। কারণ ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত গ্রন্থিগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ৩০-এর পর কিন্তু এটি আবার ভারসাম্যহীন হয়। ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে যদি কারো অ্যালোপেসিয়া হয়, এ সময় আসলে ফলাফলটা ভালো পাওয়া যায়।