প্লাস্টিক সার্জারি কী?
প্লাস্টিক সার্জারি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৪৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক।
প্রশ্ন : প্লাস্টিক সার্জারি কী ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি?
উত্তর : আসলে এটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে। গ্রিক শব্দ প্লাস্টিকাস থেকে এটি এসেছে। এটি একটি পুনর্গঠনমূলক সার্জারি। এখানে কারো কোনো জায়গায় ক্ষত হলে, একে পুনর্গঠন করা হয়। এক অংশ থেকে আরেক অংশে আমরা টিস্যু বদলি করতে পারি। এক অংশ থেকে আরেক অংশে ত্বক বদলি করতে পারি। আসলে নতুনভাবে ওই জায়গাটা তৈরি করে দেওয়া। প্লাস্টিক সার্জারিতে এখন আরো কিছু ভাগ চলে এসেছে। যেমন : অ্যাসথেটিক সার্জারি, কসমেটিক সার্জারি। মুখের বিভিন্ন ভাঁজ, তিল, দাগ এগুলোকে আমরা কসমেটিক সার্জারি, অ্যাসথেটিক সার্জারির মধ্যে নিয়ে যেতে পারি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে আমরা এগুলো ব্যবহার করি। মূলত প্লাস্টিক সার্জারিটা একটি পুনর্গঠন।
পোড়ার ক্ষেত্রে লিম্ফ ফেলে দিতে হয়, এই ক্ষেত্রে কৃত্রিম লিম্ফ দেওয়া হয়। একটি আঙুল যদি ফেলে দিতে হয়, পায়ের একটি আঙুল এনে আমরা লাগিয়ে দিতে পারি। সে যেন সক্রিয় থাকে। এই সার্জারিকে বলা হয় একধরনের প্লাস্টিক সার্জারি।
আবার অনেকে পেট হয়তো মেদ ভুঁড়ির জন্য অনেক বড় হয়ে গেল। চলাচল করতে ওজন বেড়ে গেল। এই ক্ষেত্রে চর্বি ফেলে দিয়ে, এবডোমিনাল প্লাস্টি করি। এটি করলে মানুষের স্বাভাবিক একটি আকার চলে আসে।
দেখা গেল, বেশি ডায়েট করার কারণে চামড়া ঝুলে গেল। ওজন হয়তো ঠিকই কমল, তবে চামড়াটা ঝুলে গেল। তখন আমরা ফেইস লিফটিং-এর কাজগুলো করে থাকি। আমাদের দেশে অবশ্য এটি কম। কারণ এটি খুব দামি সার্জারি।
তবে অনেকের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে যেটি প্রয়োজন। যেমন, আমি একটি রোগী দেখে এসেছি, গালে টিউমার, ক্যানসার। এই টিউমারকে ফেলে দিতে হলে হাড়সহ ফেলে দিতে হয়। ফেলে দেওয়ার পর মাইক্রোভাসকুলার সার্জারি করতে হবে। পায়ের কাছ থেকে একটি হাড় নিয়ে এসে সেটি গালে প্রতিস্থাপন করে দেব।
কারো নাকের একটি অংশ হয়তো সংক্রমণ হয়ে চলে গেছে। এই জায়গাটি ঠিক করার জন্য একটি সার্জরি করব, যেটিও প্লাস্টিক সার্জারি। প্লাস্টিক সার্জারির অংশের মধ্যে কসমেটিক ও অ্যাসথেটিক সার্জারিও চলে আসছে।