যক্ষ্মা হলেই কি ফুসফুসে পানি আসে?
যক্ষ্মা হলে ফুসফুসে পানি আসে। তবে সব সময় কি সেটি হয়? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৫৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক এ কে এম মোস্তফা হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : টিউবার কলোসিস হলে যদি ফুসফুসে পানি আসে, সে ক্ষেত্রে আপনাদের চিকিৎসা কী থাকে? কী ধরনের ব্যবস্থাপনা আপনারা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : আগে বলা হতো—যার আছে যক্ষ্মা, তার নেই রক্ষা। এখন বলা হয়—যার আছে যক্ষ্মা, তার আছে রক্ষা। প্রথম চার মাস অ্যান্টি টিবি কিছু ওষুধ আছে, সেগুলো দিই।
প্রশ্ন : যক্ষ্মা হলেই কি পানি চলে আসবে?
উত্তর : যক্ষ্মা হলেই যে পানি আসবে, এমন কোনো কথা নেই। যক্ষ্মা হলে যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ফুসফুসে পানি আসবে। তখন চারটি ওষুধ আছে, সেগুলো দিয়ে প্রথম দুই মাস চিকিৎসা করি। বাকি চার মাস চিকিৎসা করি দুটো ওষুধ দিয়ে। ডোজ নির্ভর করে রোগীর ওজনের ওপর। রোগীর কয়েক দিন ওষুধ খাওয়ার পর লক্ষণ কমে যায়। তখন ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য আমরা বলি যে ডোজটা সঠিক হতে হবে। অন্তত ছয় মাস তাকে খেতে হবে। রোগীকে ভালোভাবে বোঝাতে হবে, যে ওষুধ দেওয়া হবে, সেটি নিয়মিত খাবেন। ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। টিউবার কলোসিসে চারটি ওষুধ খেতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
অ্যান্টি টিবির ওষুধগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। রোগীকে আগেই বলে দিতে হবে, এই ওষুধ খেলে এই অসুবিধা হতে পারে। কী কী প্রতিক্রিয়া, সেটি তাকে বলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেল ওষুধ খাওয়া শুরু করল, চোখ অন্ধ হয়ে গেল। সে যখন দেখবে জটিলতা হচ্ছে, তখন চিকিৎসকের কাছে চলে আসবে। বলতে হবে তাকে আপনার লিভারে কী হতে পারে? চোখে কী হতে পারে? এগুলো বলতে হবে।