চোখে দেখার ক্ষমতা কমে যায় কেন?
বিভিন্ন কারণে মানুষের চোখে দেখার ক্ষমতা কমে যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে গ্লুকোমা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন মানুষের দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো কী?
উত্তর : অল্প বয়সে যাদের হয়, এর প্রধান কারণ হলো রিফ্র্যাকটিভ এরোর। অর্থাৎ মাইনাস পাওয়ার বা প্লাস পাওয়ার। বয়স যখন ৪০ বছর হয়, তখন কাছে কম দেখেন- এটি হলো প্রেস বায়োপিয়া। একে রিফ্র্যাকটিভ এরোর বলি না। একে বলি বয়সজনিত পরিবর্তন। এটি ৪০ বছরে হয়। একে যদি আমরা ঠিক করি এটিও রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি। তবে একে বলা হচ্ছে প্রেস বায়োপিয়া। আর ছানি অস্ত্রোপচার করার পর আমরা যে লেন্স ইমপ্লেন্ট (প্রতিস্থাপন) করছি, সেটিও রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি।
এখন লেন্সের মধ্যে অনেক তারতম্য রয়েছে। যেমন আমরা শুধু একটি লেন্স দিয়ে দিতে পারি। তার চোখে হয়তো পরে এঙ্গেল (কোণা) পাওয়ারটা রয়ে যাবে। এতে বলা হচ্ছে তার এঙ্গেলটা রয়ে গেল। এই এঙ্গেল যাতে না থাকে, সেজন্য ইমপ্লেন্ট করতে পারি। এটি দিলে তার এঙ্গেলটাও ঠিক হয়ে যাবে। আমরা বলি টরিক লেন্স ইমপ্লেন্ট। যা আমরা বাংলাদেশে এখন করছি। এটি আগে ছিল না। এতে সুবিধা হয় যেটি একজন মানুষের অস্ত্রোপচার হওয়ার পর সে বলে, আমি সবই দেখি, তবে দুই লাইন কম দেখি। টরিক লেন্স দিয়ে দিতে পারলে এই সমস্যা আর হতো না।
আরেকটি বিষয় বলি, আমরা যখন ক্যাটারেক্ট (ছানি) সার্জারি করি, তারপর রোগী বলেন আমি তো দূরে ঠিকই দেখছি, কাছে কিছু দেখতে পারছি না। কাছে দেখার জন্য আমরা তাকে একটি চশমা দিয়ে দেই। এর মাধ্যমে সেটি ঠিক করি। তবে কিছু লেন্স আছে। এই লেন্স যদি তাকে ইমপ্ল্যান্ট করা যায়, তাহলে উনি দূরেও দেখবেন, কাছেও দেখবেন। এই লেন্সগুলোকে বলা হয় মাল্টিফোকাল লেন্স। মাল্টিফোকাল লেন্সের মাধ্যমে আমরা ক্যাটারেক্ট সার্জারি করার পর, সেটা ফেকো সার্জারি করি বা অন্য কোনো সার্জারি করি, তাহলে ওনার সব সমস্যার সমাধান হলো। এই যে সার্জারি করা হলো এটি রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি।