কখন লেসিক করবেন না?
লেসিক চোখের অন্যতম একটি আধুনিক চিকিৎসা। চোখের পাওয়ারের সমস্যা সমাধানে এই চিকিৎসা করা হয়। তবে লেসিক একবার করলে কি আবার করতে হয়?
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে গ্লুকোমা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লেসিক করলে কী সারাজীবন এভাবেই চলবে? না কি আরো কিছু করতে হবে?
উত্তর : খুব ভালো প্রশ্ন। লেসিক করলেই কি ভালো হয়ে যায়? আমরা বলি যে ২১ বছর বয়সে লেসিক করবেন না। কেন বলি? কারণ হলো, সাধারণত মানুষের চোখের পাওয়ারগুলো ২১ থেকে ২২ বছর বয়সের মধ্যে স্থির হয়ে যায়। একজন শিশুর পাওয়ার ছিল মাইনাস দুই। প্রতি বছরই সেটি বেড়ে যাচ্ছে। ২১ বছর পর হয়তো আর বাড়ছে না। আমরা বলছি পাওয়ারটা স্থির হয়েছে। তখনই সে লেসিক সার্জারি করতে পারবে। কেননা লেসিক সার্জারি করার পর তার পাওয়ারটা জিরো হয়ে গেল। সাধারণত পাওয়ারটা আর বেশি বাড়ে না। তবে যদি এমন হয়, একজন রোগী, তাঁর ১৮ বছর বয়স, তাঁর পাওয়ারটা স্থির হয়নি, তিনি লেসিক করলেন। তাঁর হয়তো বিয়ের বিষয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে বা কোনো মেডিকেল চেকআপের প্রয়োজন রয়েছে, উনি করে ফেললেন। তবে তাঁর পাওয়ার স্থির হয়নি। দেখবেন, এক বছর পর তাঁর পাওয়ার আবার মাইনাস এক হয়েছে বা মাইনাস দুই হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : তার কি আবারও লেসিক করা সম্ভব?
উত্তর : সাধারণত হয় না। সেক্ষেত্রে চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স ভালো উপায়।
প্রশ্ন : আর পাওয়ার স্থির হওয়ার পর করলে?
উত্তর : সাধারণত তাদের পাওয়ার আর বাড়ে না। বাড়লেও খুব কম। এতে চশমা পরার প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্ন : যাদের আগে লেসিক করা হয়, তাদের বেলায় ছানি পড়ার প্রবণতা কেমন?
উত্তর : লেসিকের সঙ্গে ছানির তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। তবে লেসিক করা চোখে ছানি অস্ত্রোপচারের সময় পাওয়ারের বিরাট পার্থক্য হয়। যে পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা লেন্সের পাওয়াটা নির্ধারণ করি, যাকে বলি বায়োমেট্রি। যদি কারো চোখে লেসিক করা থাকে সেটি একরকম হবে না। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো পদ্ধতির সাহায্যে এটি করতে হবে।