শিশুর সর্দিকাশি সারান ঘরে বসেই
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শিশুদের ভাইরাল কফ ও ঠান্ডার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এ সময় কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি ঝড়া খুব প্রচলিত সমস্যা। তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে এগুলোকে অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে ঘরে বসে এই সমস্যা প্রতিকারের কিছু পরামর্শ।
ভাপ
আপনার ছোট্ট সোনাটি যদি ঠান্ডায় ভোগে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট বোধ করে, তাহলে গরম পানির ভাপ নিতে বলুন। একটি পাত্রে গরম পানি নিন। এরপর গরম পানির ভাপ তাকে নাকে টেনে নিতে বলুন। এতে আরাম পাওয়া যায়। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিটি ভাপ নিতে হবে। পানিতে সামান্য ইকেলিপটাস তেল যোগ করতে পারেন। তবে ভাপ নেওয়ার সময় শিশুর প্রতি খেয়াল রাখুন যেন পানি গায়ে পড়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
মধু
ঠান্ডা প্রতিকারে শিশুকে মধু খাওয়াতে পারেন। আধা চা চামচ মধু দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়াতে পারেন। শিশুর বয়স যদি পাঁচ বছরের বেশি হয় তবে দারুচিনির গুঁড়ার সাথে মধু মিশিয়ে এক চা চামচ করে খাওয়াতে পারেন।
ম্যাসাজ
দুই বছরের নিচের শিশুদের বেলায় গায়ে ম্যাসেজ করা বেশ কাজে দেয়। সরিষার তেলের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে শিশুর বুক, পিঠ ও ঘাড়ের চারপাশে ম্যাসেজ করুন। এ ছাড়া হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় তেল মাখুন।এটি শিশুকে দ্রুত স্বস্তি দিতে সাহায্য করবে।
শরীরকে আর্দ্র রাখুন
কফ হলে বা নাক দিয়ে পানি ঝড়লে শরীর আর্দ্র রাখা জরুরি। শিশুকে বেশি পানি ও পানীয় জাতীয় জিনিস খাওয়ান। পানীয় হিসেবে ফলের রস, স্যুপ খাওয়াতে পারেন।
লবণ-পানির গারগেল
এক গ্লাস কসুম কসুম গরম পানির মধ্যে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গারগেল করান। এটি গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করবে। এভাবে দুই বেলা করান।
হলুদের দুধ
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, তাই এটা ভাইরাল ইনফেকশন, যেমন ঠান্ডা ও কফকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম দুধের সাথে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে প্রতি রাতে খাওয়ান। এটি গলা ব্যথা ও নাকের পানি ঝড়া রোধে সাহায্য করবে। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম- যা শিশুকে শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করবে।