দাঁতের ফিলিং কখন দরকার পড়ে?
ফিলিং দাঁতের একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি কখন করার প্রয়োজন পড়ে? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টালে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন মানুষের দাঁতে কখন ফিলিং দেওয়ার দরকার হয়?
উত্তর : দাঁতের ক্ষেত্রে ফিলিং মানে হচ্ছে কোনো জিনিস ভরাট করা। কোনো জিনিস যদি গর্ত হয়ে যায় সেই জিনিসকে আমাদের পূরণ করতে হবে। রোগীরা বুঝতে পারে, তার কোথায় কখন গর্ত হয়েছে। সাধারণত একে ক্যাভিডি বা ডিকে বলে। এটি বিভিন্ন রকম হতে পারে। ডেন্টাল সার্জনরাই বুঝবেন কোনটাকে কোন ক্যাভিটি বলে। একটি দাঁতে এক জায়গায় গর্ত হতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হতে পারে। যদি পাশে গর্ত হয়, তাহলে কাটাকাটির কোনো প্রয়োজন নেই। এক ধরনের কসমেটিক প্রাকৃতিক রঙের ফিলিং রয়েছে। দিলেই লেগে যায়।
যদি কেউ মনে করেন এখানে আজীবন ফিলিং থাকবে সেটি ভুল। কোম্পানি থেকেই বলে দিচ্ছে দুই/ তিন বছর থাকবে। আমরা যখন ফিলিং করে দেই তখন দাঁত আর ক্ষয় হয় না। তখন ফিলিংটা ক্ষয় হয়, কিন্তু দাঁতটা বেঁচে যায়।
আর যেগুলো মাঝখানে গর্ত হয়, সেগুলোকে ক্লাস ওয়ান ক্যাভিটি বলে। বেশির ভাগ রোগী আমাদের কাছে এই ধরনের ক্ষয় এবং পাশে ক্ষয় নিয়ে আসে। পাশে ক্ষয় কেন হয়? তার ব্রাশের পদ্ধতি হয়তো ঠিক নেই। তখন দেখা যায় ওপরের ও নিচের ১২টি দাঁত তার ক্ষয় হয়ে গেছে। তার গামগুলোও আস্তে আস্তে সরতে থাকে। তখন দাঁতগুলো খুব স্পর্শকাতর হয়ে যায়।
আর দাঁতের মাঝখানে যেই গর্তগুলো হয়ে থাকে, সেগুলোতে খাদ্যকণা লেগেই থাকে। খাবারে এসিড ফরমেশন হয়ে ওপরের লেয়ার বা এনামেলকে গলিয়ে ফেলতে পারে। আস্তে আস্তে ভেতরে ঢুকতে থাকে, ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে থাকে। এতে গর্তটা আরো বড় হতে থাকে এবং ভেতরে ঢুকতে থাকে। যখন প্রথম লেয়ার চলে যায়, দ্বিতীয় লেয়ার আসে তখন রোগীরা একটু শিরশির অনুভব করে। যখন সে এধরনের অনুভূতির পর ডেনটিস্টের কাছে যায়, তাহলে তার ধরা পড়ে যায় কয়টি দাঁতে এ রকম ক্ষয় রয়েছে।
ছয় মাস পরপর বা বছরের একবারও যদি সে চেকআপ করে, তাহলে বছরে একটি দাঁতও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। ব্যথা শুরুর আগে আরো ভালো হয় শির শির শুরুর আগে সে যদি ফিলিং করে। সাধারণত শিরশির বা ব্যথা শুর হলে, দাঁতের গর্ত হলে দাঁত ফিলিং করার প্রয়োজন পড়ে।