পুরুষের সুস্বাস্থ্যে ১০ পরামর্শ
স্বাস্থ্যসচেতনতা খুব জরুরি প্রতিটি মানুষের বেলায়। তবে কিছু কিছু রোগের জন্য ছেলেরা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং আরো শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে- হৃদরোগ, ক্যানসার, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম কিছু কারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সার্টিফায়েড হলিস্টিক নিউট্রিশন থেরাপিস্ট কিরন জাহরা হোসাইন দিয়েছেন পুরুষ স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু পরামর্শ। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন।
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার আপনাকে শক্তি দেবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে। খাবার তালিকায় শাকসবজি ও ফল রাখুন। চর্বিহীন অথবা লো ফ্যাট দুধের পণ্য এড়িয়ে চলুন।
২. ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখুন
ওজনাধিক্য বিভিন্ন রোগ তৈরির জন্য দায়ী। এর কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত ওজন মাপুন এবং দেখুন ঝুঁকির মধ্যে আছেন কি না। যদি ওজন উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকে তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।
৩. শারীরিক সক্রিয়তার মধ্যে থাকুন
প্রতিদিন শারীরিক সক্রিয়তা স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি করতে পারবেন এমন একটি সহজ ব্যায়াম বেছে নিন এবং সেটি নিয়মিত করুন।
৪. ধূমপান ছাড়ুন
ধূমপান অনেক জটিল রোগের কারণ। এটা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে আমরা তো প্রায় সবাই জানি। কিন্তু মানি কয়জন বলুন! ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। আখেরে আপনারই লাভ।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাপ, কিডনির কার্যক্রম এগুলো নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার পরিমাপ, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, কিডনি, আই-চেকআপ করুন।
৬. মদ্যপান ত্যাগ করুন
অত্যধিক মদ্যপান বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার তৈরি করে। উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলার পরামর্শই বিশেষজ্ঞদের।
৭. চাপ নিয়ন্ত্রণ
পরিবার এবং কাজের পরিবেশ একসঙ্গে সামলানো বেশ কঠিন। এটা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মানসিক চাপ কমানো খুব জরুরি। এমন কিছু খুঁজে বের করুন যা আপনার মানসিক চাপকে কমাবে। গান শুনতে পারেন, মেডিটেশন করতে পারেন বা গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার ব্যায়ামও করতে পারেন।
৮. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
অপর্যাপ্ত ঘুম আপনার মেজাজ ও স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। যদি ঘুমের খুব বেশি সমস্যা হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
৯. ঝুঁকিগুলো জানুন
অনেক রোগই আমরা পারিবারিকভাবে বহন করি। ক্ষেত্রবিশেষে পরিবারের কারো থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও রোগটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পরিবারের কার কী রোগ এবং সেটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ আপনার জন্য, এই বিষয়ে জানুন। বিষয়গুলো কীভাবে সামলাবেন, জেনে নিন চিকিৎসকের কাছে।
১০. নিরাপদ থাকার চেষ্টা করুন
নিরাপদ থাকার চেষ্টা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাকে কমিয়ে দেয়। যেমন : বাইক চালালে হেলমেট পরবেন, গাড়ি চালালে সিটবেল্ট বাঁধবেন এবং যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রেই শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখবেন। পাশাপাশি শরীরেরও যত্ন নেবেন।