রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সতর্কতা
রং ফর্সা করার জন্য অনেকেই রং ফর্সাকারী ক্রিম বা ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে আজেবাজে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের কারণে ত্বক সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও উল্টো ত্বকের ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯০১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাহেদ পারভেজ। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিডিভি ও এমপিএইচ ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রশ্ন : ব্রণ প্রতিরোধে জীবন যাত্রায় কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে?
উত্তর : আজকাল বয়োঃসন্ধিরা ফেসবুকে থাকছেন, নেটে থাকছেন, অনেক রাত পর্যন্ত ঘুমাচ্ছেন না। যার কারণে তার সেবাসিয়াস গ্রন্থির কাজ অতিমাত্রায় হচ্ছে। মুখটা তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ত্বক ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো প্রয়োজন। অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসটা আমাদের পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ফাস্টফুড থেকে সমস্যা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অতিমাত্রায় চকোলেট, ব্যাভারেজের সঙ্গেও ব্রণ বেড়ে যাওয়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণত শাক সবজি খাওয়ার পাশাপাশি হালাকা ব্যায়াম করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যায়।
আরেকটি পরামর্শ আমার। সেটি হলো, ফেয়ারনেস ক্রিম অতিমাত্রায় ব্যবহার করার একটি প্রবণতা রয়েছে অনেকের। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে। ফেয়ারনেস ক্রিমের নামে বাজারে আজকাল অনেক বাজে ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে। এসব ক্রিমগুলোর মধ্যে অতিমাত্রায় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এটি মানুষের মুখের চামড়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি আমার এক্সিমার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি। সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।