চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়
অনেক অভিভাবকই শিশুদের সাধারণ ঠান্ডা, কাশিতে চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার অনুরোধ করেন, যেটি ঠিক নয়। অ্যান্টিবায়োটিক মূলত ব্যাকটেরিয়ারোধী ওষুধ। ভাইরাসের সংক্রমণে এটি কোনো কাজে আসে না; বরং ক্ষতিই করে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯০৭তম পর্বে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের পরামর্শক ডা. আবু সাঈদ শিমুল।
প্রশ্ন : ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের কী ভূমিকা রয়েছে? দিলে কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া দিয়ে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে। তবে ভাইরাস যদি হয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যদি চিকিৎসাবিজ্ঞানের শব্দ ব্যবহার করি, তাহলে তো অ্যান্টিভাইরাল দিতে হবে। মানে ভাইরাসকে মারবে অ্যান্টিভাইরাল। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এ ধরনের ভাইরাসকে মারার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ কোথাও এ ধরনের অ্যান্টিভাইরাল আবিষ্কার হয়নি। এ ধরনের ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। বলা হয়, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যদি ওষুধ খায়, ভালো হবে সাত দিনে; না হলে ভালো হবে এক সপ্তাহে। অর্থাৎ এটি ভালো হতে সাত দিনই লাগবে। তবে সে সময়ে মা-বাবারা একটু অস্থির হয়ে পড়েন, পাঁচ-সাত দিন ধৈর্য ধরতে চান না।
সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া একেবারেই প্রয়োজন নেই। সুতরাং চিকিৎসকের কাছে যদি যেতেই না হয়, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রশ্ন আসেই না।
যদি দেখি যে সর্দি-কাশি নেই, গলাব্যথা হচ্ছে, পেটেব্যথা হচ্ছে, টাইফয়েড বা অন্য কিছু হচ্ছে, কোনো দোকান থেকে কোনো ওষুধ না কিনে একজন চিকিৎসকের কাছে যান।
শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যান। চিকিৎসক যদি মনে করেন, তাহলেই শুধু আপনি আপনার বাচ্চাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না।