শিশুর শ্বাসকষ্ট : কখন চিকিৎসকের কাছে নেবেন?
শ্বাসকষ্ট একটি জটিল সমস্যা। এ সমস্যায় কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯০৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আবু সাঈদ শিমুল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্বাসকষ্ট কোন পর্যায়ে গেলে রোগীর অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
উত্তর : শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই তখনই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। শ্বাসকষ্ট কখন বলব? দুই মাসের কোনো বাচ্চা যদি এক মিনিটে ষাটবারের বেশি শ্বাস নেয়, তাহলে সেটি শ্বাসকষ্ট। দুই মাস থেকে ১১ মাস ২৯ দিনের শিশু যদি ৫০ বারের বেশি শ্বাস নেয় এবং ১২ মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত যদি ৪০ বারের বেশি শ্বাস নেয়, তাহলে খুব সহজে আমরা বুঝতে পারছি যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। নেবুলাইজেশন করতে হবে।
আর শ্বাসকষ্ট যদি এমন হয় যে সে কথা বলতে পারছে না, সে খেতে পারছে না, অজ্ঞান হয়ে পড়ছে, ঠোঁট বা নাকের আগা কালো হয়ে গিয়েছে, যাকে আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় সাইনোসিস বলি—এসব ক্ষেত্রেও কিন্তু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
আর অনেক দিন ধরে কাশি ভালো হচ্ছে না, পরিবারের কারো অ্যাজমা বা হাঁপানির লক্ষণ রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আবার ১৪ দিনের বেশি কাশি হচ্ছে, বারবারই হচ্ছে, যাচ্ছেই না, সকালের দিকে এবং রাতের দিকে কাশি বেশি হচ্ছে, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, এটি হাঁপানিও হতে পারে। সে কাশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবে।
প্রশ্ন : সর্দি-কাশির সঙ্গে নাক-কান-গলাজনিত কী সমস্যা বাচ্চার হতে পারে?
উত্তর : আগেই বলেছি যে টনসিল হতে পারে। কানে ব্যথা হতে পারে। নাকেরও সমস্যা হতে পারে। সাইনোসাইটিস হতে পারে। আর এ সময় অনেক ধুলাবালি হয়। যেহেতু শীতের সময় বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কম থাকে, এ জন্য হাঁচি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এসবই কিন্তু হয়ে থাকে। তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমরা বলব যে টনসিলের সমস্যাটা খুব বেশি হয়।