মৃগীরোগ সারায় গাঁজার তেল!
গাঁজাখুরি গল্প নয়। নেশার জন্য এত দিনের পরিচিত গাঁজার রয়েছে ঔষধি গুণ! আর এ গুণের জন্য গাঁজার তেলের কদর বাড়ছে। বৈধতা পাওয়ার পর যুক্তরাজ্যে এই তেলের বিপণনের দায়িত্ব নিয়েছে দেশটির বিখ্যাত বিপণন সংস্থা ইউকে সিবিডি ও শার্লটস ওয়েব।
এর আগে গত বছরের শুরুতে গাঁজা নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউসের’ এক গবেষণায় উঠে এসেছিল, ক্যানসারের ওষুধ লুকিয়ে আছে গাঁজায়। গত ৩১ জুলাই নিয়ন্ত্রিত চাষ ও বিপণন আইনি সিলমোহর পায় গাঁজা।
শার্লটস ওয়েবের এক মুখপাত্র ডেইলি মেইলকে জানান, গাঁজার নেশা উৎপাদনকারী উপাদান টিএইচসি বাদ দিয়ে শুধু সিবিডি উপাদানটি কাজে লাগিয়ে ঔষধি তেল তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থার নামকরণের পেছনে রয়েছে নব্বইয়ের দশকে তুমুল আলোড়ন তৈরি করা শার্লট ফিজির কাহিনী। ১৯৯১ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে প্রবল মৃগীরোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তাঁকে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে গাঁজার ডোজ দেওয়া হয়। সে চিকিৎসায় সাফল্য পাওয়ার পর গাঁজার ঔষধি গুণের বিষয়টি তখন সাড়া ফেলেছিল। এর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাঁজার নেশার উপাদানটি বাদ দিয়ে ঔষধি গুণ নিয়ে গবেষণা করে আসছিল। এত দিন পর সেই গবেষণায় ফল মিলেছে।
চিকিৎসকদের মতে, গাঁজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ওমেগা-৩ ও ৬ ধরনের রোগনিরোধক উপাদান। এর ফলে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ সারানোর ওষুধে বিভিন্ন দেশে গাঁজার ব্যবহার আছে। আর যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য গাঁজা চাষ বৈধ করতে সরকারের কাছে আবেদনপত্রে মাত্র এক সপ্তাহে সই করেছেন দুই লাখ ব্রিটিশ নাগরিক।