কতটুকু পানি পান করা উচিত?
আমাদের শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগই পানি দিয়ে তৈরি। তাই শরীরের প্রতিটি কাজের জন্য পানি জরুরি। পানি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে এবং হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে কম পানি পান জটিল ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। আবার অতিরিক্ত পানি খাওয়াও শরীরের জন্য ঝুঁকিপ্রবণ। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করা জরুরি। দ্য ইনডিপেনডেন্ট প্রকাশ করেছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন।
প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করা উচিত
পিপাসা এবং প্রস্রাব শরীরের পানিচক্র নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা পিপাসা থাকলে পানি পান করি, টয়লেটে যাই, আবার পানি পান করি-পানি চক্র আবার শুরু হয়।
দ্য ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির ২০১০ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন একজন সুস্থ পুরুষের অন্তত ২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। আর নারীর ১ দশমিক ৬ লিটার অথবা আট থেকে ১০ গ্লাস। তবে এটা নির্ভর করবে কাজ কর্ম, স্বাস্থ্য, ওজন ও আবাহাওয়া (গরম, ঠান্ডা)-এগুলোর ওপর।
কখন বুঝবেন পানি শূন্যতায় ভুগছেন
বেশি পিপাসা লাগলে, গাঢ় হলুদ বর্ণের প্রস্রাব, প্রস্রাবে গন্ধ থাকলে বুঝবেন পানিশূন্যতা হচ্ছে ; শরীরে পানি অভাব হয়েছে। এছাড়া সামান্য মাথা ব্যথা, শুষ্ক মুখ, আলস্যও লাগাও পানি শূন্যতার লক্ষণ। প্রবীণ লোকেরাও কখনো কখনো পানি শূন্যতার বিষয়টি টের পান না। এদের সমস্যাগুলোও প্রায় একই ধরনের হয় এই সময়ে। এ রকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
কখন বুঝবেন শরীরে বেশি পানি হচ্ছে?
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে বেশি পানি পান করলে ইনটোক্সিকেশন এবং সোডিয়ামের মাত্রা অনেক নিচে নেমে হাইপোনেট্রেমিয়া হতে পারে। অনেক সময় এথলেটদের এই সমস্যা দেখা যায়।
আবার কখনো শারীরিক অসুস্থতার কিছু কারণে শরীর বেশি পানি গ্রহণ করতে পারে না। কিডনি এবং হার্টের সমস্যায় এই বিষয়টি হয়। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই পানি পান করা উচিত।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যখন মানুষকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হয়। যদি আট ঘণ্টার বেশি প্রস্রাব না হয়, অবসন্ন লাগে, দ্রুত হৃদ স্পন্দন হয়, খুব বেশি পানি পিপাসা লাগে- এমনকি সেটা ডায়াবেটিস রোগীর বেলায়ও, তখন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া জরুরি।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। বেশিও নয়,কমও নয়। শরীরের কথা শুনুন। তবে কিছু উল্টোপাল্টা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।