সাতটি জরুরি অবস্থায় কী করবেন?
কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যখন মানুষের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। হয়তো সেই সময় তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া একটু কঠিন হয়ে যায়। তখন কাছে চিকিৎসক বা সেবিকা না থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার অনেকে সাহায্য করবেন না কি করবেন না, বা করলেও কী করবেন এ নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে যান।
তবে কিছু সহজ বিষয় জানা থাকলে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং এতে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মানুষটির জীবন বাঁচানোও সম্ভব হবে। বোল্ডস্কাই দিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
১. বিষ খেয়ে ফেললে
রোগী শ্বাস নিতে না পারলে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যক্তিকে বমি করানোর চেষ্টা করাতে পারেন। তবে বমি করানোর চেষ্টা করার আগে কী ধরনের বিষ সে খেয়ে ফেলেছে সেটা জানতে হবে। যদি ক্ষার জাতীয় বিষ খায়, তবে বমি করালে সেটি ফুসফুস, শ্বাসনালি এগুলোতে চলে গিয়ে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এতে মৃত্যুর ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এ রকম হলে পাকস্থলী পরিষ্কারের জন্য যত দ্রুত সম্ভব, রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
২. হঠাৎ জ্ঞান হারালে
অনেক সময় পথেঘাটে হঠাৎ করেই দেখা যায় কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময় তার জিহ্বা কামড় দিয়ে কেটে ফেলে। তাই প্রথমে সেটা থেকে বাঁচতে মুখে এক টুকরো নরম কাপড় গুঁজে দিতে পারেন। জিহ্বা এবং দাঁতকে বাঁচতে কোনো শক্ত বস্তু মুখের ভেতর ঢোকাবেন না। এটা চোয়ালের চিড় ধরাতে পারে এবং মুখে ক্ষতও তৈরি করতে পারে। সুবিধাজনক জায়গায় নেওয়ার আগে তার মাথার নিচে একটা বালিশ দিন এবং অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন।
৩. যেকোনো এসিড অথবা রাসায়নিক দ্রব্য চোখে ঢুকলে
প্রথমেই চোখ ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট একটানা চোখে পানি দিন। কোনো রকম দেরি করবেন না। পুরোপুরি চিকিৎসার আগে এটি চোখ থেকে রাসায়নিক দ্রব্য ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করবে।
৪. গলায় কিছু চলে গেলে
যদি গলায় কোনো বস্তু ঢুকে যায় তবে কখনোই ভেতরে আঙুল ঢোকাবেন না। এতে দুর্ভাগ্যবশত বস্তুটি শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। বস্তুটি বেরিয়ে আসার জন্য পেটে এবং পিঠে পাঁচ মিনিট অথবা তারও বেশি সময় ধরে ধাক্কা বা চাপ দিন। তবে এটা শিশুদের বেলায় করবেন না।
৫. পুড়ে গেলে
কোথাও পুড়ে গেলে বরফখণ্ড সরাসরি পোড়া স্থানে লাগাতে পারেন। পোড়া জায়গায় পানি ঢালতে পারেন। পোড়া জায়গায় ঠান্ডা পানি ঢালা চিকিৎসার একটি প্রাথমিক পরামর্শ।
৬. রক্ত পড়া কমাতে
কোথাও কেটে গিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে একটি কাপড় দিয়ে স্থানটিতে শক্ত করে বাঁধুন। এটা রক্ত প্রবাহিত হওয়া বন্ধ করবে।
৭. সাপে কাটলে
সাপে কামড়ানো জায়গাটা নড়াচড়া করবেন না। এতে বিষ সঞ্চালন হয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। মুখ দিয়ে বিষ ফেলতে যাবেন না। এটা ভ্রান্ত ধারণা। এতে অপর ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাপে কামড়ানো জায়গায় চাপ দিয়ে বিষ বের করতে যাবেন না। সাপে কামড়ানোর নির্দিষ্ট জায়গার দুই পাশে শক্ত করে বেঁধে দিন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিন।