ব্রণ খুটলে যেসব সমস্যা হয়
ব্রণ প্রদাহজনিত একটি অবস্থা। অনেকে ব্রণ খুঁটে থাকেন। এতে সমস্যা আরো বাড়ে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মেহরান হোসেন। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, সিটি হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ খুটলে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর : ব্রণ খুটলে খুব খারাপভাবে প্রভাব পড়ে। এ কারণে ব্রণ আবার ছড়িয়ে পড়ে। ব্রণ আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পোস্ট ইনফ্লামেটোরি হাইপার পিগমেন্ট হয়, দাগ হয়ে যায় মুখে। দাগ পড়ে ওষুধ দিয়ে যেতে অনেক সময় লাগে। দাগ পড়ে যায়, গর্ত হয়ে যায় অনেক সময়। এগুলো বেশ সমস্যা করে।
প্রশ্ন : সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে কি এই জাতীয় জটিলতা হতে পারে?
উত্তর : জটিলতা হতে পারে। একনি স্কার হয়ে যায়, একনি থেকে কিলয়েড পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। উঁচু হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন : একনে কিলয়েড কী?
উত্তর : ব্রণ হলো ওই জায়গায় হয়তো ঠিকমতো চিকিৎসা হলো না বা সারলো না বা অপচিকিৎসা হলো, ওই জায়গা থেকে উঁচু হয়ে যেতে পারে জায়গাটা।
ব্রণ যে কেবল মুখে হবে, তা নয়। বুকে, হাতে বা পিঠেও হয়। ওই জায়গাগুলো অনেক সময় উঁচু হয়ে যায়। একে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলি কিলয়েড।
প্রশ্ন : সেক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থাপনা করে থাকেন?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে কিছু টপিক্যাল বা লাগানোর ওষুধ দেই। অথবা স্টেরয়েড ইনজেকশন বা আইএল দেই। এর চিকিৎসা আবার রোগীর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এই জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ব্রণের চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন : কিছু জটিল ব্রণ রয়েছে। যেগুলো সিস্ট হয়ে যেতে পারে। সেগুলো আসলে কী?
উত্তর : সেগুলো আসলে ব্রণের কিছু প্রকারভেদ। সেগুলো সবসময় যে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয় সেটি নয়। অন্য কোনো অসুখের জন্য সে হয়তো ওষুধ খাচ্ছে। এটি থেকে মারাত্মক ব্রণ হলো। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অনেকদিন ধরে চিকিৎসা দেই। সেই ক্ষেত্রে খাওয়ার ওষুধ দেই। যেমন রোয়াকোটেন্স জাতীয় ওষুধ দেই। আইসোট্রিটিনয়েন জাতীয় ওষুধ দেই। আরো কিছু ওষুধ দেই, সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি খেতে হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বেশিরভাগ ব্রণ সম্পূর্ণভাবে ভালো হওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন : ব্রণের হাত থেকে মুক্ত থাকতে বাইরে যাওয়ার সময় কী কী সতর্কতা নিতে হবে?
উত্তর : গরমকে একটু এড়িয়ে যাওয়া। আসলে গরমকে এড়িয়ে যাওয়া তো একটু কষ্টসাধ্য। সেক্ষেত্রে হাতের কাছে ব্যাগে বা প্যান্টের পকেটে টিস্যু রাখতে পারেন। বা যখনই বেশি ঘামছে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা বা বাসায় হলে ভালো একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। যত বেশি মুখ ধুবে, ঘাম জমবে না, ঘাম গ্রন্থিগুলো ব্লক হবে না। ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বা প্রকোপ তত কমে যাবে।