ঘামে দুর্গন্ধ হয় কেন?
গরমে ঘাম হয়, ঘামে দুর্গন্ধও হয়। কিন্তু এই দুর্গন্ধের তীব্রতা যদি বেশি হয়? এই তীব্র গন্ধের কারণে প্রায়ই অস্বস্তিতে পড়তে হয় অনেকের। এতে অনেকের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও হতে পারে।
দেহ পানিশূন্য হলে বা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। বোল্ডস্কাই জানিয়েছে ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার সাত কারণের কথা। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো।
১. অপুষ্টি
ভর পেট খেলেই শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সব ধরনের খাদ্যই সঠিক পরিমাণে খাওয়া দরকার। অপুষ্টি ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করার একটি বড় কারণ। এ ছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘামে বাজে গন্ধ হয়।
২. পারফিউম
গায়ে গন্ধ সুন্দর করতে আমরা সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করি। তবে এই পারফিউম থেকেও ঘামে গন্ধ হতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো! কিছু পারফিউম রয়েছে যেগুলোতে ব্যাকটেরিয়া দূরকারী উপাদান থাকে না। এগুলো ব্যবহারের ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বেশি বৃদ্ধি পায় এবং দুর্গন্ধ তৈরি করে।
৩. ওষুধ
নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবনের কারণেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
৪. সিনথেটিক কাপড়
সিনথেটিক কাপড় সুতির কাপড়ের চেয়ে কম ঘাম শোষণ করে। যদি ঘামে প্রচুর গন্ধ হয় তবে রেয়ন ও পলিয়েস্টারের তৈরি কাপড় এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা এগুলো ঘামে গন্ধ তৈরি করে।
৫. খাবারে কম কার্বহাড্রেট
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের অভাব হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ঘামের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
৬. মিষ্টি
ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে মিষ্টি খাবারেও কিছু ভূমিকা রয়েছে। বেশি মিষ্টি খাবার দেহে ইস্ট উৎপন্ন করে। সাধারণত অ্যালকোহলের মধ্যে যে চিনি মেশানো হয় সেটা থেকে এই ইস্ট বেশি উৎপন্ন হয়; যা ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এ ছাড়া খাবারে বেশি ঝালের ব্যবহার ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করার আরেকটি কারণ।
৭. প্রস্রাব আটকে রাখলে
গবেষণায় বলা হয়, যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন তখন ঘামে উটকো গন্ধ বের হতে থাকে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো তখন প্রস্রাবের সাথে বের হতে না পেরে ঘামের সাথে বের হয়। ফলে ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।