যে পাঁচটি কাজ স্বাস্থ্যকর নয়
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি। তবে প্রাত্যহিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এমন কিছু বিষয় রয়েছে- যা স্বাস্থ্যকর মনে করলেও আসলে তেমন স্বাস্থ্যকর নয়। যেমন : নিয়মিত কান পরিষ্কারের জন্য কটনবাডের ব্যবহার অথবা গা পরিষ্কারের জন্য পুরনো স্পঞ্জের ব্যবহার। এ রকম আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আদতে অস্বাস্থ্যকর। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এ রকম কিছু অস্বাস্থ্যকর বিষয়ের কথা।আসুন জানি বিষয়গুলো কী।
১.কটনবাড
অনেকেই মনে করেন প্রতিদিন কান পরিষ্কার করা জরুরি। আর এর জন্য অনেকে কটনবাড ব্যবহার করেন। তবে ধারণাটা ভুল। অধিকাংশ চিকিৎসকই বলেন, প্রতিদিন কটনবাড ব্যবহার করা কানের জন্য ঝুঁকিপূণ। এর ফলে একপর্যায়ে কানের চামড়ায় ক্ষত হয়ে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কটনবাড বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
২. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানে ট্রাইক্লোসান থাকে; এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে সাবানের এই উপাদানের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বাড়তে পারে।
৩. ব্লেন্ডার
কোনো কিছু ব্লেন্ড করার পর আমরা ব্লেন্ডার পরিষ্কার করি। তবে পরিষ্কার করার পরও এর ভেতর এমন কিছু বিষয় রয়ে যায় যা স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলে। তাই ব্লেন্ডার ব্যবহারের পর প্রথমে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। এরপর কিছু পানি দিয়ে কয়েক মিনিট আবার ব্লেন্ড করুন।এই পদ্ধতি ব্লেন্ডারের ব্লেডের মধ্যে আটকে থাকা জীবাণুকে দূর করবে। এই জীবাণু কখনো কখনো খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৪. ঝামাপাথর
পা পরিষ্কার করতে আমরা অনেক সময় ঝামা পাথর ব্যবহার করি। তবে একজনের ব্যবহৃত পাথর আরেকজন ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে জীবাণু পরিবাহিত হয়ে সহজে শরীরকে আক্রান্ত করে। তবে যদি ব্যবহার করতেই হয় পাথরটি গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৫. গা মাজার স্পঞ্জ
এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস উৎপন্ন করার আরেকটি বস্তু। পুরনো গা মাজার স্পঞ্জে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। তাই এক মাস পরপর গা মাজার স্পঞ্জ পরিবর্তন করার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।