কেন আমরা বেশি খাই?
বেশি খেলে ওজন বাড়ে, আর্টারির রক্ত জমাট বাঁধে। এ ছাড়া আরো নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়- কথাগুলো অনেকেই জানি। তবে এরপরও অনেকেই বেশি খাই বা খাওয়ার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কেন? লাইফস্টাইলবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এই বেশি খাওয়ার কিছু কারণের কথা।
মনোযোগ দেই না
মনোযোগ দিয়ে না খেলে বেশি খাবার খাওয়া হয়। অনেকেই টেলিভিশন দেখতে দেখতে বা কম্পিউটারে কোনো ছবি দেখতে দেখতে খাবার খেতে থাকেন। এতে খাবারের চেয়ে টেলিভিশনের প্রতি মনোযোগ বেশি থাকে। খাবারের প্রতি এই অমনোযোগিতা খাবার খাওয়ার পরিমাণকে বাড়িয়ে দেয়। যা হয়তো টের পান না আপনি। তাই খাবার খাওয়ার সময় টেলিভিশনের সুইচ বন্ধ করুন এবং কেবল খাবারই খান।
আবেগীয় কারণে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাগ, কান্না, উদ্বেগ, উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা- এসব বিষয় খাবার খাওয়ার পরিমাণকে যেমন কমিয়ে দিতে পারে, তেমনি এসব আবেগীয় মুহূর্ত অনেক সময় খাওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়েও দিতে পারে।
চাপে থাকলে
চাপ অনেক সময় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চাপের মধ্যে থাকলে মজাদার কিছু খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর কারণেও বেশি খাওয়া হয়।
খাবারে আসক্তি
মদ্যপান বা ধূমপানের মতো কখনো কখনো খাওয়াও আমাদের নেশায় পরিণত হয়; ক্ষুধা থাকুক আর নাই থাকুক। এর কারণেও বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
ক্র্যাশ ডায়েট
যারা ক্র্যাশ ডায়েট করেন বা খাবারের পরিমাণ অনেক কমিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করেন, তাঁদের ডায়েটের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন শেষ হওয়ার পর, খাওয়ার প্রতি আগ্রহ আবার বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, কখনো কঠিন ধরনের এসব ডায়েট করা ঠিক নয়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
ঋতুস্রাব এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মেয়েদের যেমন খাবার অরুচি তৈরি করে, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে এ সময় বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
কম ঘুম
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, কম ঘুম একজন লোককে পরবর্তী দিনে বেশি খেতে আগ্রহী করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।