ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে অলিভ অয়েল
গবেষণায় বলা হয়, অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড, যা শরীরের জন্য উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। এ ছাড়া এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যকর আরো অনেক গুণ। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল রাখার উপকারিতার কথা।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
অনেকের ধারণা, বছরে যদি ২০ লিটার অলিভ অয়েলও খাওয়া হয়, তবুও শরীরে মেদ জমে না। আর গবেষকরা বলেন, খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল রাখা হলে এটা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এবং এটি লো ফ্যাট ডায়েট (কম চর্বিও খাদ্য) হিসেবেও বেশ কার্যকর।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
অলিভ অয়েল শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল রাখা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল রাখতে পারেন।
ত্বকের সুস্বাস্থ্যে
গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়া ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। এটি ফ্রি রেডিকেলসের প্রভাব থেকেও ত্বককে মুক্ত রাখে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
অলিভ অয়েল ভালো চর্বি বা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের চমৎকার উৎস। এটি প্রবীণদের মস্তিষ্ক ভালো রেখে স্মৃতিভ্রম এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে ফ্যানোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কোলন, স্তন এবং ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ দূর করে।
হার্ট ভালো রাখতে
অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে বায়োফেনল, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। বায়োফেনল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং আর্টারির প্লাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ
অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবাইয়াল উপাদান, যা পাকস্থলীর আলসারের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা পলিফেনলও পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।
আয়রন
অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে কিছু পরিমাণ আয়রন, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এবং রক্তশূন্যতা রোধে কাজ করে।