হার্টে রিং পরানোর পর কি ব্যায়াম করা যায়?
হার্ট ব্লক হলে অনেক সময় চিকিৎসার ক্ষেত্রে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর পর একজন রোগী কি ব্যায়াম করতে পারেন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩১৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. ফারহাদ উদ্দীন।
ডা. মো. ফারহাদ উদ্দীন বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রিং পরানোর পর স্বাভাবিক জীবন যাপন প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু করব? ব্যায়াম কবে থেকে, কী প্রক্রিয়ায় শুরু করব? এমনি আমার হার্ট দুর্বল ব্যায়াম করতে গেলে কি আরো ক্ষতি হবে?- এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের। এসব বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : কারো যদি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়, এরপর তিনি হাসপাতালে থাকবেন, রিং লাগাবেন কিংবা পরও যদি কেউ রিং লাগানোর চিকিৎসা করে, তাহলে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। যেমন : একজন মানুষের যদি হার্ট অ্যাটাক হয়, তিনি হার্ট অ্যাটাকের ধরন অনুযায়ী তিন থেকে পাঁচদিন, সাতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ছুটি দেওয়া হবে। তিনি যখন বাসায় যাবেন তখন বলা হয়ে থাকে যে ছয় সপ্তাহ তিনি বিশ্রামে থাকবেন। এই সময়টিতে ক্ষতিটা পূরণের একটি সুযোগ হয়ে যায়। ছয় সপ্তাহ পর তিনি তার স্বাভাবিক কাজে যোগ দেবেন। এই যে ছয় সপ্তাহ উনি বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন, একেবারে যে শুয়ে বসে বিশ্রাম নেবে না, তা নয়। তিনি প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে ১০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন। একটু একটু করে তিনি তার কাজগুলো করবেন। ছয় সপ্তাহ পর স্বাভাবিক কাজে যোগ দেবে। এর মধ্যে তার খাদ্যাভ্যাসটাকে পরিবর্তন করবে। এখানে চর্বিযুক্ত খাবার কম থাকবে। আজকাল বলা হচ্ছে, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কমিয়ে দেওয়ার জন্য। অতিরিক্ত লবণ খাবেন না। কিংবা ধূমপান যারা করছেন, ধূমপান অবশ্যই বর্জন করবেন। ডায়াবেটিসকে খুব ভালো মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর নির্দিষ্ট সময় পরপর ফলোআপে থাকবেন।
আর খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো ওষুধ খাওয়ার বিষয়টি। আমরা বলি, আপনি ভাত খেতে ভুলে যান, কিন্তু ওষুধ খেতে ভুলবেন না। এই জন্য আমরা বলি পরে যেন জটিলতা না হয়, সেই জন্য সতর্কভাবে চলবেন।