যে ৬ ধরনের ব্যথা কখনো এড়িয়ে যাবেন না
সাধারণত মানুষ ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তির পথ খোঁজে। ব্যথা সারাতে ব্যথানাশক ওষুধ খায় বা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। শরীরে কোনো অসুবিধা হলে সেটি অনেক সময় ব্যথার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
ব্যথা তো সারাতেই হবে, তবে এর থেকেও বেশি প্রয়োজন ব্যথার কারণ ভালোভাবে খুঁজে বের করে একেবারে নিরাময় করা। তাই তাৎক্ষণিক ব্যথামুক্ত হওয়ার পদক্ষেপ নিলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। আর এমন কিছু ব্যথা রয়েছে যেগুলো কখনোই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে এ রকম ছয় ধরনের ব্যথার কথা।
১. বুকে ব্যথা
সব ধরনের বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নয়। তবে বুকে ব্যথা হলে সেটিকে এড়িয়ে না যাওয়াই ভালো। গবেষণায় বলা হয়, মেয়েরা বেশি এই ধরনের ব্যথা এড়িয়ে যায়। এই ব্যথা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
ছোট শ্বাস, ক্রমাগত বুকে ব্যথা এবং বুক থেকে শরীরের ওপরের অংশে ব্যথা – এ রকম হলে কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. মাথা ব্যথা
অধিকাংশ সময় মাথাব্যথার কারণ খুব জটিল না হলেও এই ব্যথা মাইগ্রেনের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া হঠাৎ মাথাব্যথা কখনো কখনো মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে হতে পারে। তাই মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. দাঁতে ব্যথা
দাঁতে শিরশির ভাব এবং ব্যথা অনুভূত হওয়া দাঁতক্ষয়ের লক্ষণ। অনেকেই প্রথমে এই ব্যথাটিকে পাত্তা দেন না। তবে প্রথম দিকে বিষয়টিকে খেয়াল না করলে দাঁতের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে। এ রকম হলে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
৪. তীব্র ব্যথা ডান দিকে
যদি বমিভাব এবং জ্বরের সঙ্গে পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথা করে, এটি অ্যাপেনডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। অথবা মেয়েদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট হলেও অনেক সময় এমন ব্যথা হতে পারে। ডিম্বাশয়ের সিস্ট অধিকাংশ সময় খুব ক্ষতিকর না হলেও অ্যাপেনডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো সার্জারি। তাই এই ধরনের ব্যথা হলে এড়িয়ে না গিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. পেটে গ্যাসের ব্যথা
যদি পেট ভারী বোধ হয় এবং পেটে গ্যাস হয়, খাবার খাওয়া কমে যায় এটি ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ২০০৭ সালে গাইনোকোলজিক্যাল ক্যানসার ফাউন্ডেশনের কোনসেনসাসের তথ্য মতে, ওভারির ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হলো পেট ভারী লাগা, পেট ব্যথা হওয়া এবং খাওয়ায় অরুচি হওয়া। এ রকম ব্যথা যদি প্রতিদিন হয় এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. পা ফোলাসহ ব্যথা
পা ফোলাসহ ব্যথা হওয়া, হাত দিলে গরম অনুভব হওয়া, লাল হয়ে যাওয়া-এগুলো ডিভিটি বা ডিপ ভেইন থ্রমবোসিসের লক্ষণ। দেহের গভীরের রক্তনালিগুলোতে রক্ত জমাট বেঁধে এই সমস্যা হয়। যদি কখনো এ রকম সমস্যা অনুভব করেন তবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নিতে দেরি করলে এ থেকে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় পা কেটে ফেলারও অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় এ থেকে। এ ছাড়া জমাট রক্ত ফুসফুসে ছুটে গিয়ে মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।