রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি নিয়ে ভীতি কেন?

পাকস্থলীর ক্যানসারের চিকিৎসায় অনেক সময় রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে এসব চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনেকের মনেই ভীতি কাজ করে।
এসব বিষয় নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৯৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আরমান রেজা চৌধুরী রাকেশ। বর্তমানে তিনি ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অনকোলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি নিয়ে অনেকের মনে ভীতি কাজ করে। এই ভয়টি কি অমূলক?
উত্তর : দুটো বিষয়। একটি হলো চিকিৎসার সহজলভ্যতা। আরেকটি হলো চিকিৎসার সহজবোধ্যতা। চিকিৎসক হিসেবে এটি আমাদেরই দায়িত্ব রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজনকে বোঝানো। চিকিৎসার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। কিন্তু সেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পাল্লার চেয়ে যদি চিকিৎসা-পরবর্তী পাল্লাটা ভালো হয়, তাহলে এ জিনিসটা বোঝানো হয় যে চিকিৎসা নেওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এত বড় একটি অস্ত্রোপচার করে ফেলল, এরপর যদি সে প্রয়োজনীয় রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি না নেয়, যদি কিছুদিন পরে রোগটা আবার ফিরে আসে, তাহলে কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়ে গেল। চিকিৎসাকে সহজবোধ্য করতে হবে, এটি একটি।
দ্বিতীয় হলো, চিকিৎসাটা সহজলভ্য করতে হবে। খারাপ ভবিষ্যৎটাই তার জন্য ভালো থাকে। সেই জিনিসগুলোকে সহজ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।