কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ওট
প্রতিদিন ওট খেলে রোগব্যাধি দূরে থাকে, এমনই বলেন বিশেষজ্ঞরা। এই খাবারে রয়েছে ভিটামিন-ই, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, আঁশ ইত্যাদি। সকালের নাশতায় এই স্বাস্থ্যকর খাবারটি হতে পারে সব সময়ের মেন্যু। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে ওটসের অসাধারণ কিছু গুণের কথা।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওটের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার। এটি বাজে কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি খাদ্যটি ভালো কোলেস্টেলের (এইচডিএল) মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওট হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় ভালো একটি খাবার। ওটের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা প্ল্যান্ট লিগন্যান, বিশেষ করে এনটেরোল্যাকটোন হৃৎপিণ্ডকে রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে
ওটস আঁশের চমৎকার উৎস। এর মধ্যে থাকা সলিউবল ও ইনসলিউবল আঁশ অন্ত্রের কার্যক্রম ভালো রাখে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ওট রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির করে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে থাকা বেটা গ্লুকেন খাবারের আগে রক্তের শর্করার মাত্রা কমতে দেরি করায় এবং খাওয়ার পর শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তোলে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির তথ্যমতে, ওটসের মধ্যে থাকা লিগন্যান উপাদানটি স্তন, প্রোস্টেট এবং ওভারির ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ওট নারী-পুরুষ, সবার জন্যই দরকারি।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন ওট খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং এর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস
ওট ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস। এটি এনজাইমের কার্যক্রম ভালো রাখে এবং দেহের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এটি রক্তের ধমনি শিথিল রেখে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওট স্বল্প ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। এটি অনেক সময় ধরে পেট ভরা অনুভূতি হতে সাহায্য করে। এটি বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ওটমিল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা উপাদান বেটা গ্লুটেন রোগের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া ওট ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি ত্বককে নরম করতে কাজ করে।