নারী না কি পুরুষ, কাদের চুল বেশি পড়ে?
চুলপড়া একটি প্রচলিত সমস্যা। নারী ও পুরুষ উভয়েরই চুল পড়ে। তবে কাদের বেশি পড়ে?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ার চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুলপড়া সমস্যা কাদের বেশি হয়? নারীর না কি পুরুষের?
উত্তর : আসলে আমাদের কাছে নারীর সংখ্যাই বেশি। একটি কথা বলে নিই, চুল পড়ার বিষয়টি নারী ও পুরুষ উভয়েরই হয়। যখন মেয়েরা চুলপড়া বেশি দেখে, তখন ভয় পেয়ে যায়। চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের একটি অংশ। তাই তারা সতর্ক থাকে এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে আসে।
তবে যখন চুলপড়া বেশি হয়, তখনই এটি রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। একশর বেশি চুল যদি পড়ে, তাহলে ধরে নিতে হবে কোনো না কোনো রোগের কারণে হচ্ছে।
প্রশ্ন : টাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা পুরুষদের বেশি দেখা যায়। নারীদের কি এ সমস্যা কম হয়?
উত্তর : টাক হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নারীদের বেলায় তুলনামূলক কম। কারণ, টাক যাকে বলছেন, একে আমরা বলি অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া। এটা হরমোন জনিত কারণ। অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্যের জন্য এটি হয়ে থাকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু তার অ্যান্ড্রোজেন হরমোন দায়ী নয়। প্রধান কারণ হলো আসলে বংশগত। বংশে বাবা বা মায়ের দিকে যেকোনো জায়গায় কোনো না কোনো টাক পড়ার ইতিহাস যদি থাকে, তাহলে মেয়েদের চুল পড়ে যেতে পারে।
আপনি বলছিলেন মেয়েদের টাক দেখা যায় না। বিষয়টি আসলে ঠিক নয়। কিন্তু দেখা যায় না এ কারণে যে মেয়েদের লম্বা চুলের করণে মাথা ঢাকা থাকে। মেয়েদের টাক পড়ার ধরন, আর ছেলেদের টাক পড়ার ধরন এক নয়।
ছেলেদের টাক পড়া সাধারণত সামনে থেকে আস্তে আস্তে পেছনের দিকে চলে যায়। সামনের অংশটুকুতে টাক দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। মেয়েদের পেছন বা ওপরের অংশ আগে পড়া শুরু করে। আস্তে আস্তে সামনের দিকে আসে। এক সময় সামনের চুলগুলো রেখেই মাঝখানে, ওপরের অংশে টাক পড়ে যায়।