ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় রোজকার যে ৫ বিষয়
ক্যানসার একটি আতঙ্কের নাম। তবে বর্তমানে ক্যানসারের চিকিৎসা অনেক উন্নত। আর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসার নির্মূল করা যায়।
প্রতিদিনকার কিছু বিষয় বা কাজ রয়েছে, যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এগুলো এড়িয়ে গেলে ক্যানসার কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। ক্যানসার তৈরিকারী রোজকার কিছু কাজের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ।
১. ধূমপান
সিগারেটের মধ্যে প্রায় চার হাজার আটশটি বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে। যতবার আপনি সিগারেট খাচ্ছেন, ততবার এসব বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসছেন।
গবেষণা বলে, ধূমপায়ীর জীবনীশক্তি প্রায় ১০ বছর কমে যায় একজন অধূমপায়ীর চেয়ে। ধূমপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি, ফুসফুসের রোগ ও বিভিন্ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে ভালো খবর হলো, ৪০ বছরের আগে ধূমপান ছাড়তে পারলে প্রায় ৯০ ভাগ ধূমপান সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমে আসে।
২. মদ্যপান
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মদ্যপান নারী ও পুরুষ উভয়েরই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মদ্যপান স্তন ক্যানসার, লিভার ক্যানসার ও এসোফেজাল ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। আর মদ্যপান কমিয়ে দিলে ওজন কমে আসে। এতে শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমে এবং ক্যানসার প্রতিরোধ হয়।
৩. বেশি ওজন
ওজন বেশি থাকলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাড়তি ওজন আট ভাগ বিভিন্ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ওজন কমালে লিভার ক্যানসার, প্যানট্রিয়াকিট ক্যানসার, কিডনি ক্যানসার, স্তন ক্যানসার ইত্যাদির ঝুঁকি কমে।
৪. প্রক্রিয়াজাত মাংস
ব্যাকন, হট ডগ, লাঞ্চমিট ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে গবেষণায় বলা হয়, এ ধরনের মাংস কোলরেক্টাল ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
সাধারণত প্রক্রিয়াজাত মাংসে কারসিনোজেন (ক্যানসার তৈরিকারী উপাদান) থাকে। মাঝেমধ্যে হয়তো আপনি প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে পারেন। তবে নিয়মিত এ ধরনের মাংস খাওয়া এড়িয়ে যেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৫. পরোক্ষ ধূমপান
কেবল ধূমপান করলেই যে ক্যানসার হয়, বিষয়টি এমন নয়। ধূমপান না করেও ধূমপায়ীর সঙ্গে থাকলে বা ধূমপানের স্থানে থাকলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ থেকে ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। তাই এ ধরনের পরিবেশ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।