নখ কোন কোন রোগ প্রকাশ করে
নখকে রোগের আয়না বলা হয়। অর্থাৎ শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে নখ দেখলে সেটি অনেকটাই বোঝা যায়।
নখ কোন কোন রোগের কথা প্রকাশ করে, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫২৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ার চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নখের বিষয়ে একটু প্রাথমিক ধারণা দেন...
উত্তর : আমাদের ২০টি আঙুলে নখ রয়েছে। পায়ের নখ ও হাতের নখের গঠনগত কিছু পরিবর্তন রয়েছে। নখের গোঁড়ায়, সবচেয়ে আগের অংশটুকুতে, চামড়ার নিচে ম্যাট্রিক্স রয়েছে। নখের ঠিক আগের দিকের যে চামড়াটা, তার নিচে ম্যাট্রিক্স রয়েছে। এটি নখের গঠনের জন্য দায়ী। এখন থেকে নখ আস্তে আস্তে বড় হয়। আমি বলছিলাম, পায়ে ও হাতের নখের তফাৎ এটুকুই যে নখ বড় হয়ে আস্তে আস্তে ওখান থেকে সামনের দিকে আসা পর্যন্ত হাতের ক্ষেত্রে সাধারণত ছয় থেকে নয় মাস লাগে। কিন্তু পায়ের ক্ষেত্রে এক বছরের বেশি লেগে থাকে। সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। হাত ও পায়ের নখে কাজের কারণে ভিন্নতা হয়। আমাদের হাতের নখে প্রায় সময় পানির কাজ বেশি হয় বলে হাতের নখে বেশি পানি লাগে এবং পানিজনিত অনেক কিছুই পরিবর্তন আনতে পারে। এমনকি রোগের বেলাতেও। পায়ের ক্ষেত্রে সেটি নয়। পায়ের ক্ষেত্রে জুতার কারণে বদ্ধতা থাকে। এবং এর কারণে বাতাস কম লাগে। পায়ের রোগগুলো এ কারণে ভিন্ন হতে পারে।
প্রশ্ন : নখ একজন মানুষের কোন কোন রোগকে প্রকাশ করে?
উত্তর : একটি শিরোনাম আমাদের খুব প্রচলিত। নেইল ইজ দ্য মিরর অব আদার ডিজিস। অর্থাৎ নখের চেহারা দেখে বোঝা যায় ভেতরে কী রোগ রয়েছে। আমরা যখন দেখি অনেক আয়রনের ঘাটতি, রক্তস্বল্পতা হয়, তখন নখের পরিবর্তন হয়। নখ বাঁকা হয়ে যায় ভেতরের দিকে, অনেকটা চামচের মতো। কোনো কোনো সময় ক্যানসারের মতো খারাপ রোগও নখের পরিবর্তন করে থাকে। যেমন, প্লাবিং নেইল। নখের পরিবর্তনের মধ্যে নখের পুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। এবং অন্য রং হয়ে যায়। রঙের পরিবর্তনের কারণে অন্য অনেক রোগ আমরা ধরে থাকি। যেমন, লাইপেন প্লেনাসের মতো ত্বকের রোগ। অন্যান্য জায়গায় হওয়ার আগে অনেক সময় নখে পরিবর্তন আসে। কালচে রং হয়ে থাকে। এ রকম অনেক অনেক রোগের আয়না প্রথমে নখে আসে।