থাইরয়েডের রোগীদের করা বারণ যে ৩ কাজ
থাইরয়েড হরমোন তৈরিকারী প্রজাপতির মতো একটি গ্রন্থি। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীরা থাইরয়েডের সমস্যায় বেশি ভোগেন।
হাইপার থাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম, থাইরয়েড নডিউলস ইত্যাদি এই গ্রন্থির বিভিন্ন সমস্যা। থাইরয়েডের সমস্যা সমাধান করা না হলে এটি বিপাকে সমস্যা করে, হৃদরোগ, অস্টিওপরোসিস ও বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।
থাইরয়েডের রোগীদের করা ঠিক নয়, এমন কিছু কাজের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা না করা
থাইরয়েডের রোগীদের জন্য মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা খুব জরুরি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাইরয়েডের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
২০০৪ সালে থাইরয়েড জার্নালের প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, মানসিক চাপ থাইরয়েডের সমস্যার জন্য একটি বড় কারণ। মানসিক চাপে থাকলে শরীর করটিসল হরমোন নিঃসরণ করে। অতিরিক্ত করটিসল থাইরয়েড হরমোনে প্রভাব ফেলে।
তাই যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান, ম্যাসাজ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
২. নিয়মিত ধূমপান
থাইরয়েড রোগীদের জন্য ধূমপান, এমনকি পরোক্ষ ধূমপানও বেশ ক্ষতিকর। ২০০০ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, ধূমপান থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ায়। তাই থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে এই অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
৩. চেকআপ এড়িয়ে যাওয়া
থাইরয়েডের চিকিৎসায় সঠিক ওষুধ খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।
একটু ভালো লাগল বলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে চলবে না। এবং কখনোই নিজের মনমতো ডোজে ওষুধ খাবেন না। পাশাপাশি কিছুদিন পর পরই থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বছরে একবার থেকে দুবার এ পরীক্ষা করুন।